কলকাতা: উৎসবের রেশ কাটতে না কাটতেই ফের চড়েছে সবজির বাজার। সপ্তাহের প্রথম দিন, সোমবার সকাল থেকেই কলকাতা ও আশপাশের পাইকারি এবং খুচরো বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় সবজির দামে লক্ষ্য করা যাচ্ছে ওঠানামা। পেঁয়াজ, টমেটো, লঙ্কা থেকে শুরু করে পটল ও ফুলকপি প্রায় সব ধরনের সবজিতেই বাড়ছে গৃহস্থের খরচ।
বাজার সূত্রে জানা যাচ্ছে, বড় পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ₹২৫ থেকে ₹৩২-এর মধ্যে ঘোরাফেরা করছে, আর ছোট পেঁয়াজের দাম পৌঁছেছে ₹৪৯ থেকে ₹৬২ পর্যন্ত। টমেটো এখনও চড়া দামে, প্রতি কেজি ₹২০ থেকে ₹৩৩। কাঁচালঙ্কার দামও কমেনি, ₹৪৮ থেকে ₹৭৯ প্রতি কেজি পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
পাঁচ বছর পর শুরু ভারত-চিন সরাসরি বিমান পরিষেবা, কলকাতা থেকে উড়ল ইন্ডিগো
বিট, আলু ও কাঁচা কলার দাম তুলনামূলক স্থিতিশীল থাকলেও, পাতাজাত সবজিতে বৃদ্ধি স্পষ্ট। আমরনাথ শাকের দাম এখন ₹১৫ থেকে ₹২৫ প্রতি কেজি, আর ধনেপাতা ₹১১ থেকে ₹১৮ টাকায় মিলছে। বাজারে এমন দামের উর্ধ্বগতি দেখে ক্রেতারা বলছেন “মাসের শুরুতেই খরচের হিসেব গরম হয়ে যাচ্ছে।”
অন্যদিকে, ঢেঁড়স, করলা, ফুলকপি ও গাজরেও দামের উত্থান লক্ষ্য করা গেছে। ঢেঁড়স ও করলার দাম ₹৩৯ থেকে ₹৬৪ প্রতি কেজি, ফুলকপি ও গাজরের দাম ₹৩১ থেকে ₹৬৬-এর মধ্যে। এমনকি ড্রামস্টিক বা সজনে ডাঁটাও প্রতি কেজি ₹৫০ থেকে ₹৮৩ দরে বিক্রি হচ্ছে।
কৃষি বিপণন দফতরের এক আধিকারিকের মতে, “বৃষ্টির অনিশ্চয়তা, জ্বালানির দাম বৃদ্ধি এবং পরিবহন খরচ এই তিনটি কারণে বাজারে দামের ওঠানামা স্বাভাবিক। তবে আগামী সপ্তাহে নতুন ফসলের আগমন হলে দামে কিছুটা স্থিতিশীলতা আসতে পারে।”
পাইকাররা বলছেন, “উৎসব মরশুমে চাহিদা বেড়েছিল। সরবরাহ ঠিকঠাক থাকলেও পরিবহন খরচ ও শ্রমিকদের মজুরি বাড়ায় খরচে প্রভাব পড়ছে। তার ফলই খুচরো বাজারে পড়ছে।” গৃহিণীদের মতে, “বাজারে ঢুকলেই এখন হাজার টাকা খরচ হয়ে যাচ্ছে। আগে যেখানে পাঁচশো টাকায় এক সপ্তাহের সবজি হতো, এখন তা সম্ভব নয়।”
কৃষিবিদদের মতে, এই সময় সাধারণত দামের ওঠানামা স্বাভাবিক। তবে পরিবেশগত প্রভাব ও মৌসুমি পরিবর্তন যদি অব্যাহত থাকে, তাহলে নভেম্বরে দাম আরও বাড়তে পারে। সব মিলিয়ে, সপ্তাহের প্রথম দিনেই সবজির দামের এমন পরিবর্তন গৃহস্থদের পকেটে বড় চাপ ফেলে দিয়েছে। এখন নজর থাকবে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নতুন শীতকালীন সবজি বাজারে আসার পর দাম কতটা কমে।


