কলকাতা: কালীপুজো আসছে, আর সেই সঙ্গে উৎসবের ভিড় সামলাতে তৈরি হচ্ছে কলকাতা মেট্রো (Kolkata Metro)। দীপাবলি ও কালীপুজোর রাতে শহরবাসীর যাতায়াত নির্বিঘ্ন রাখতে বিশেষ পরিষেবার ব্যবস্থা ঘোষণা করেছে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। প্রতিটি রুটে বদল এসেছে পরিষেবা ও সময়সূচিতে। সাধারণ দিনের তুলনায় কিছু রুটে সময় বাড়ানো হয়েছে, আবার কিছু রুটে পরিষেবা কমানো হয়েছে যাত্রী সুরক্ষার কথা ভেবে।
ব্লু লাইন (শহিদ ক্ষুদিরাম – দক্ষিণেশ্বর)
সবচেয়ে বেশি পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে ব্লু লাইনে। সাধারণ দিনে ২৭২টি মেট্রো চললেও কালীপুজোতে চলবে ১৪৪টি। সকাল ৭টা ৫৪ মিনিটে নোয়াপাড়া থেকে এবং সকাল ৬টা ৫৪ মিনিটে শহিদ ক্ষুদিরাম থেকে মেট্রো পরিষেবা শুরু হবে। মহানায়ক উত্তম কুমার থেকে দক্ষিণেশ্বর এবং দক্ষিণেশ্বর থেকে শহিদ ক্ষুদিরাম রুটে প্রথম মেট্রো মিলবে সকাল ৮টায়।
রাতের পরিষেবাতেও বাড়তি সময় যুক্ত হচ্ছে— দক্ষিণেশ্বর থেকে শহিদ ক্ষুদিরাম পর্যন্ত শেষ মেট্রো ছাড়বে রাত ১০টা ৫১ মিনিটে এবং শহিদ ক্ষুদিরাম থেকে দক্ষিণেশ্বরের শেষ মেট্রো রাত ১১টায়।
গ্রিন লাইন (হাওড়া ময়দান – সল্টলেক সেক্টর ফাইভ)
গ্রিন লাইনে পরিষেবা থাকবে মোট ১২৪টি। তবে এই রুটে প্রথম ও শেষ মেট্রোর সময় অপরিবর্তিত। সকাল সাড়ে ৬টায় হাওড়া ময়দান থেকে এবং সকাল ৬টা ৩২ মিনিটে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ থেকে প্রথম মেট্রো পাওয়া যাবে। রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে হাওড়া থেকে এবং রাত ৯টা ৪৭ মিনিটে সল্টলেক থেকে শেষ মেট্রো ছাড়বে।
ইয়েলো লাইন (নোয়াপাড়া – জয় হিন্দ বিমানবন্দর)
ইয়েলো লাইনে চলবে ১২০টির বদলে ৫২টি মেট্রো। সকাল ১০টায় নোয়াপাড়া থেকে বিমানবন্দর এবং সকাল ১০টা ২২ মিনিটে বিমানবন্দর থেকে নোয়াপাড়া পর্যন্ত পরিষেবা শুরু হবে। শেষ মেট্রো পাওয়া যাবে বিকেল ৫টা ৩৪ মিনিটে নোয়াপাড়া থেকে এবং বিকেল ৫টা ৫৪ মিনিটে বিমানবন্দর থেকে।
পার্পল লাইন (জোকা – মাঝেরহাট)
জোকা-মাঝেরহাট রুটে ৮০টির পরিবর্তে ৪৪টি মেট্রো চলবে। সকাল ১০টায় জোকা থেকে এবং সকাল ১০টা ২৪ মিনিটে মাঝেরহাট থেকে প্রথম মেট্রো পাওয়া যাবে। শেষ মেট্রো জোকা থেকে বিকেল ৫টা ২৮ মিনিটে ও মাঝেরহাট থেকে বিকেল ৫টা ৪৯ মিনিটে ছাড়বে।
অরেঞ্জ লাইন (বেলেঘাটা – কবি সুভাষ)
অরেঞ্জ লাইনে পরিষেবা থাকবে ৪০টি মেট্রো। সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে বেলেঘাটা থেকে এবং সকাল ১০টায় কবি সুভাষ থেকে প্রথম মেট্রো চলবে। শেষ মেট্রো দুই দিক থেকেই ছাড়বে বিকেল ৫টা ৫৫ মিনিটে।
মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, উৎসবের সময়ে যাত্রীদের বাড়তি ভিড় সামলাতে সব স্টেশনে বিশেষ কর্মী, নিরাপত্তারক্ষী এবং নজরদারি ব্যবস্থা থাকবে। পরিষেবা যাতে নিরবচ্ছিন্ন থাকে, সেই লক্ষ্যে কন্ট্রোল রুমে ২৪ ঘণ্টা নজরদারি চলবে। উৎসবের আনন্দে কলকাতার নাগরিকরা যেন নির্বিঘ্নে ভ্রমণ করতে পারেন, সেটাই এখন প্রধান লক্ষ্য মেট্রো প্রশাসনের।