“মনে হচ্ছে গাজায় আছি!”, জলমগ্ন বালিগঞ্জের কর্ণফিল্ড রোডে জলকষ্ট

কলকাতা: মঙ্গলবার ৫ ঘন্টার আকাশভাঙ্গা বৃষ্টিতে জলমগ্ন তিলোত্তমা। দীর্ঘ ৪০ ঘন্টা ধরে লোডশেডিং, নেই পানীয় জল! বালিগঞ্জের কর্ণফিল্ড রোডের বাসিন্দারা বলছেন, “মনে হচ্ছে যেন গাজা…

কলকাতা: মঙ্গলবার ৫ ঘন্টার আকাশভাঙ্গা বৃষ্টিতে জলমগ্ন তিলোত্তমা। দীর্ঘ ৪০ ঘন্টা ধরে লোডশেডিং, নেই পানীয় জল! বালিগঞ্জের কর্ণফিল্ড রোডের বাসিন্দারা বলছেন, “মনে হচ্ছে যেন গাজা ভুখন্ডে আছি”। বুধবার সকাল থেকে শহরের কিছু কিছু এলাকায় জলস্তর নামলেও দক্ষিণ কলকাতার বালিগঞ্জ, কসবা, পার্ক সার্কাসের মত এলাকায় এদিন দুপুর গড়িয়ে গেলেও নামেনি জলস্তর। একই অবস্থা উত্তরেও। ঠনঠনিয়া, আর্মহার্স্ট স্ট্রিট, কেশবচন্দ্র সেন স্ট্রিটের মত এলাকায় জমে রয়েছে বৃষ্টির জল।

Advertisements

এই অবস্থায় বিদ্যুত বিচ্ছিন্ন করে রাখে সিইএসসি। ফলে বাড়ি, আবাসনের ট্যাঙ্ক গুলো খালি। বন্ধ পানীয় জল সরবরাহ। বুধবার সকাল থেকে এমনই দুর্বিষহ পরিস্থিতিতে রয়েছেন বালিগঞ্জের বাসিন্দারা। কর্ণফিল্ড রোডের এক বাসিন্দা জানান, বাড়িতে বয়স্করা রয়েছেন। বিদ্যুৎ না থাকায় সকাল থেকে পাম্প চালিয়ে ট্যাঙ্কে জল তোলা সম্ভব হয়নি। ফলত সকাল থেকে চরম অস্বস্তিতে রয়েছেন তাঁরা।

Advertisements

মঙ্গল এবং বুধবারের দুপুর পর্যন্ত অবশেষে বালিগঞ্জ এলাকায় বিদ্যুৎ পরিষেবা পুনরায় চালু করে সিইএসসি। দীর্ঘ প্রায় ৪০ ঘন্টারও বেশি সময় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকার পর যেন “নতুন প্রাণ ফিরে পেলাম” বলে জানাচ্ছেন এক স্থানীয়। তাঁর বাড়ির একতলায় গতকাল প্রায় এক কোমর জল ছিল বলে দেখান ওই বাসিন্দা।

অন্যদিকে, পাটুলির ফ্লোটিং মার্কেট এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, “এখনও মনে হচ্ছে জাহাজের মধ্যে আছি। কোথাও হাঁটুজল তো কোথাও এখনও কোমর অবধি জল রয়েছে”। তাঁদের আবাসনের প্রায় চারটে সিঁড়ি জলের তলায় ছিল বলে জানান ওই বাসিন্দা। অতিবৃষ্টিতে কারও হাত না থাকলেও ৫ ঘন্টার বৃষ্টিতে কল্লোলিনি কলকাতা কার্যত ডুবে যাওয়ার জন্য প্লাস্টিক, আবর্জনা এবং নিকাশি নালার যথাযথ সংস্কার না হওয়াকেই দুষছেন কলকাতাবাসী।