রেশন দুর্নীতি মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের দুটি বাড়িতে চলছে ইডি অভিযান। এই প্রসঙ্গে সাংবাদিক সম্মেলনে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, চাপ দেওয়া হচ্ছে অনবরত। জ্যোতিপ্রিয়র সুগার আছে। ওর কিছু হলে এফআইআর করব।
জিজ্ঞাসাবাদের নামে শারীরিক ও মানসিক হেনস্থার অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি অভিযোগ করেন, চাপ দিয়ে অনেকের নাম বলানোর চেষ্টা চলছে।
রেশন দুর্নীতির তদন্তে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই মাঠে নেমেছে ইডি। বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী। সেই সূত্রে দুর্নীতির তদন্তে তিনি আছেন ইডি নজরে। মন্ত্রীর সল্টলেকের বাড়িতে যেমন তল্লাশি চলছে তেমনই তল্লাশি চলছে নাগেরবাজারে মন্ত্রীর আপ্তসহায়কের ঘরে।
মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বাড়ি সহ আট জায়গায় চলছে ইডি তল্লাশি অভিযান। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের নিয়ে সল্টলেকের বি সি ব্লকে মন্ত্রীর ঘরে ঢোকেন ইডি গোয়েন্দারা। বাড়ি ঘিরে ফেলা হয়েছে। জেরা চলছে মন্ত্রীর।
সকালে ইডি অভিযান নিয়ে দুপুরে বিস্ফোরণক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কালীঘাটে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি ইডি অভিযান নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
“আজ আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি আপনারা সকলেই জানেন জেলায় জেলায় পুজো কার্নিভাল। জেলার সব নেতা-মন্ত্রীরা ব্যস্ত। আগামীকালও কলকাতায় পূজোর কার্নিভাল রয়েছে। আজ ভোরবেলা থেকে লোকে বিজয়া দশমী করতে গিয়েছে। গিয়ে দেখে বালুর ঘরে ইডি রেড করছে। সব মিনিস্টারদের ঘরে গিয়ে যদি রেড করে তাহলে গভর্নমেন্টের আর বাকি থাকল কী”?
মুখ্যমন্ত্রী বিজেপিকে নিশানা করে বলেন, ” বিজেপি যদি মনে করে এভাবে সবার মুখ বন্ধ করা যাবে, একটা লোক কারো নামে কিছু বললেই ইনভেস্টিগেশন ছাড়াই, যেটা কোর্টও অর্ডার দিয়েছে, প্রপার এভিডেন্স থাকতে হবে। কোনও ইনভেস্টিগেশন ছাড়া এই সব করা যাবে না। শুধু বাংলা নয় বরং গোটা দেশ জুড়ে এই কার্যকলাপ চলছে। সকাল হতেই ইডি সিবিআইয়ের রেড পড়ছে”।
মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্র সরকারকে নিশানা করে বলেন, “আমার প্রশ্ন হল একটাও বিজেপি নেতার বাড়িতে কি রেড হয়েছে? একটাও বিজেপির ডাকাতদের বাড়িতে রেড হয়েছে? একটাও বিজেপি মন্ত্রীদের বাড়িতে রেড হয়েছে?”


