CPIM: নিধিরাম সর্দার হয়ে পুরভোটে জোটের ‘বগল বাজাচ্ছে’ বামেরা, একলা চলো দাবি

CPIM new generation

Political correspondent: বামফ্রন্ট শরিক দল ফরওয়ার্ড ব্লকের সিংহ গর্জন শুনতে পাচ্ছেন সিপিআইএম (CPIM)নেতারা। আসন্ন পুর নির্বাচনে ফের কংগ্রেসের সঙ্গে জোট নাকি একলা বামফ্রন্ট এই নিয়ে শূন্য ভাঁড়ার পূর্বতন শাসক গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ বাড়ছেই।

Advertisements

আরও পড়ুন : ‘হাল ছেড়ে দেওয়া’ গৃহবন্দি বুদ্ধবাবু শুনলেন নব্যরা ফাইট করেছে

   

সূত্রের খবর, পুর ভোটকে সামনে রেখে বামফ্রন্টের বৈঠকে ফ.ব নেতারা সিপিআইএমকে একদম ধুনে দিতে তৈরি। এর জন্য ফরওয়ার্ড ব্লকের বাংলা কমিটি (রাজ্য কমিটি) বাছা বাছা বাক্য সংগ্রহ করে রেখেছেন। সেসব প্রয়োগ করা হবে বৈঠকে।

ফ.ব ইঙ্গিত দিয়েছে যদি জোট হয় তবে বামফ্রন্ট নাম ব্যবহার করা যাবে না। প্রয়াত জ্যোতি বসুর সূত্র মেনে শরিকদলগুলির মিলিত শক্তিকেই বামফ্রন্ট মানতে রাজি ফরওয়ার্ড ব্লক।

এদিকে বামমহলে শুরু হয়েছে ভোট বেড়ে যাওয়ার আনন্দে ‘বগল বাজানো’। সম্প্রতি চার বিধানসভার উপনির্বাচনে একলা লড়াই করে বামফ্রন্ট তার ভোট ও ভোট শতাংশ দুটোই বাড়িয়ে নেয়। যদিও ঝুলি এখনও খালি। গত লোকসভা ভোট থেকে যে শূন্য কোঠা বামেদের জন্য বরাদ্দ করেছেন রাজ্যবাসী তাতে প্রলেপ দিয়েছেন জনতা।

আরও পড়ুন: হেরেও ‘সুশান্ত এফেক্ট’ পশ্চিম মেদিনীপুরে, বনধের রোষ বাম কর্মীদের

Advertisements

মহানগর থেকে মফস্বল সর্বত্র চর্চায় এসেছে একলা চলো রে নীতিতে বামেদের ভোট বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি। নিচু তলার নেতা কর্মীদের দাবি, এবার অন্তত কংগ্রেস বা কোনও জগাখিচুড়ি জোটের বগল বাজানো বন্ধ করুন উঁচু তলার নেতারা। তা না হলে স্বল্প পুঁজি যা এসেছে তাও যাবে ভেসে।

এদিকে পশ্চিম মেদিনীপুরের তাবড় নেতা ও প্রাক্তন মন্ত্রী সুশান্ত ঘোষের দাবি, লেজুড়বৃত্তি না করে চোখে চোখ রেখে কথা বললেই বাম ফের পুরনো ছন্দে ফিরবে। গুঞ্জন আসন্ন সিপিআইএম রাজ্য সম্মেলনে তিনি দলীয় অচলাবস্থার নীতিতে ‘বোমা মারা’র যাবতীয় প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন। ‘সুশান্ত বচন’ যে কত কঠিন তা হাড়ে হাড়ে বোঝেন বাম নেতারা। একই পথে হাঁটতে চলেছেন উত্তরবঙ্গের তথা রাজ্যের অন্যতম হেভিওয়েট নেতা অশোক ভট্টাচার্য ও সুন্দরবনের কিংবদন্তি নেতা কান্তি গাঙ্গুলী। তালিকায় নাম ক্রমে বাড়ছে।

<

p style=”text-align: justify;”>আর জেলায় জেলায় সমর্থকদের দাবি, দল আছে, ভোট পড়ছে, মিছিল হচ্ছে, তবে নেতাদের ভাবা দরকার একলা চলার নীতি। কোথায় আটকাচ্ছে তাঁদের। ‘জোটের বগল বাজানো বন্ধ করুক দল’।