মমতার তৎপরতায় CESC-র দ্রুত পদক্ষেপ, ক্ষতিপূরণের ঘোষণা

cesc-offers-₹5-lakh-relief-to-family-of-victim-in-kolkata-rain-electrocution-incident

কলকতা ২৬ সেপ্টেম্বর: কলকাতার পাড়ায় পাড়ায় যখন ভারী বৃষ্টির কারণে জল জমেছে এবং বিদ্যুতের ঝুঁকি বেড়েছে, তখনই ঘটে যায় এক বড় দুর্ঘটনা। বেশ কয়েকজন ব্যক্তি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ হারান। দুর্ঘটনার পর থেকেই ক্ষতিপূরণ এবং দায়িত্ব নিয়ে রাজনৈতিক ও সামাজিক চাপ বেড়েছিল।

Advertisements

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানিয়েছেন, এই দায় তাদের নিতে হবে যারা বিপদ সৃষ্টি করেছে। তবে তৎপরতা দেখানোয় বেশ দেরি হয়, এবং CESC প্রথমে দায়িত্ব এড়ানোর চেষ্টা করেছিল।

   

তবে বৃহস্পতিবার কলকাতায় ঘটে যাওয়া এই ট্রাজেডির পর অবশেষে CESC ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেছে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারকে। এ ঘোষণা আসার পেছনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরাসরি হস্তক্ষেপ এবং জনচাপের প্রভাব স্পষ্ট।

ভারী বৃষ্টির সময় শহরের বিভিন্ন এলাকায় জল জমে এবং সেই সঙ্গে বিদ্যুতের তারের স্পর্শে দুর্ঘটনা ঘটে। আক্রান্ত পরিবারগুলো এবং স্থানীয়রা প্রথমে দায়িত্ব নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের দিকে চেয়েছিলেন। কিন্তু প্রাথমিকভাবে CESC ক্ষতিপূরণ বা সহযোগিতা প্রদানে অনীহা প্রকাশ করেছিল।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিষয়ে আগেই কঠোর বার্তা দিয়েছিলেন যে, যারা এই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী, তাদেরই ক্ষতিপূরণ এবং ন্যায্য ব্যবস্থা নিতে হবে। তবে কিছুটা দেরি হলেও, আজকের এই ঘোষণা তা বাস্তবে রূপ নিল।

Advertisements

CESC-এর ঘোষিত ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ শুধুমাত্র আর্থিক সহায়তা নয়। এটি পরিবারগুলোর জন্য একটি সান্ত্বনা এবং নাগরিকদের জন্য একটি বার্তা যে, দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব এড়াতে পারবে না।

অর্থনৈতিকভাবে, এই ক্ষতিপূরণ মৃত ব্যক্তিদের পরিবারের দৈনন্দিন ব্যয়, চিকিৎসা খরচ এবং অন্যান্য প্রয়োজন মেটাতে সহায়তা করবে। বিশেষ করে নিম্নমধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য এটি বড় ধরনের সহায়তা।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৎপরতা এবং প্রেসার বার্তা স্পষ্ট। তাঁর হস্তক্ষেপের ফলে CESC এই পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হলো। সামাজিকভাবে, এই ঘটনা জনগণকে সচেতন করেছে। দুর্ঘটনার পরে সাধারণ মানুষের মধ্যে চাপ তৈরি হয়েছিল যে, দায়িত্ব নেওয়া হচ্ছে না।