HomeWest BengalKolkata City'ভুয়ো তথ্য' ছড়ানোর অভিযোগে বিজেপি নেত্রী ও বিশিষ্ট চিকিৎসকদের তলব কলকাতা পুলিশের

‘ভুয়ো তথ্য’ ছড়ানোর অভিযোগে বিজেপি নেত্রী ও বিশিষ্ট চিকিৎসকদের তলব কলকাতা পুলিশের

- Advertisement -

আরজি কর (RG Kar) মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক প্রশিক্ষণার্থী মহিলা ডাক্তারকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় দু’জন বিশিষ্ট চিকিৎসক এবং বিজেপির সিনিয়র নেত্রীকে ভুল তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে এবং নির্যাতিতার পরিচয় প্রকাশ করার অভিযোগে তলব করেছে কলকাতা পুলিশ। রবিবার তাঁদের তলব করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ডঃ কুণাল সরকার, ডাঃ সুবর্ণ গোস্বামী এবং বিজেপি নেত্রী এবং প্রাক্তন সাংসদ লকেট চ্যাটার্জিকে নোটিশ জারি করা হয়েছে। তাঁদের রবিবার বিকেল ৩টের মধ্যে লালবাজারের পুলিশ সদর দফতরে উপস্থিত হতে বলা হয়েছে।

পুলিশ অভিযোগ করেছে যে ডাঃ কুনাল সরকার এবং ডাঃ সুবর্ণগোস্বামী মামলার তদন্ত এবং পোস্টমর্টেম রিপোর্ট সম্পর্কিত মিথ্যা তথ্য প্রচার করেছেন। ডাঃ সুবর্ণ গোস্বামী, বিশেষ করে, সংবাদমাধ্যমের কাছে সাক্ষাৎকার দিয়ে দাবি করেছেন যে তিনি পোস্টমর্টেম রিপোর্টে অ্যাক্সেস করেছেন, এবং তাতে ১৫০ মিলিগ্রাম বীর্য এবং একটি ভাঙ্গা পেলভিক হাড়ের উপস্থিতি সহ জঘন্য বিশদ বিবরণ রয়েছে। এরপর পুলিশের দাবি যে সাক্ষাৎকারে ডাঃ সুবর্ণ গোস্বামী এই উপসংহারে আসেন যে নির্যাতিতাকে গণধর্ষণ করা হয়েছিল। কলকাতা পুলিশ স্পষ্টভাবে এই দাবিগুলিকে ‘ভিত্তিহীন’ এবং ‘ক্ষতিকারক গুজব’ হিসেবে অভিহিত করে, দাবিগুলিকে উড়িয়ে দিয়েছে।

   

ঘরে ঢুকে এয়ার ইন্ডিয়ার ক্রু মেম্বারকে শারীরিক নির্যাতন, ঘটনায় জারি পুলিশি তদন্ত

ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন ১৭ আগস্ট মহিলা ডাক্তারকে ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে ২৪ ঘন্টার দেশব্যাপী ধর্মঘট ডেকেছিল যা আজ সকালে শেষ হয়েছে।

ডাক্তারদের পাশাপাশি, বিজেপি নেত্রী লকেট চ্যাটার্জিকে নির্যাতিতার পরিচয় প্রকাশের অভিযোগে তলব করা হয়েছে, যা ভারতীয় আইনের অধীনে একটি গুরুতর অপরাধ। পুলিশ সূত্রে খবর, নির্যাতিতার পরিচয় প্রকাশ, ভুল তথ্য ছড়ানোর সঙ্গে সংর চলমান তদন্তকে জটিল করে তুলেছে। কলকাতা পুলিশ দুটি পৃথক মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করেছে – একটি বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর জন্য এবং অন্যটি নির্যাতিতার পরিচয় বেআইনিভাবে প্রকাশের জন্য।

তলব করা ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য লালবাজারে উপস্থিত হলে পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।গত ৯ আগস্ট সকালে আর্জি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সেমিনার কক্ষে প্রশিক্ষণার্থী মহিলা চিকিৎসকের মৃতদেহ পাওয়া যায়। এই মামলায় কলকাতা পুলিশের একজন সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে ওই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়। তিনি আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়িতে অবস্থান করেছিলেন এবং সমস্ত বিভাগে তাঁর যাতায়াত ছিল বলে জানা গেছে । তাকে সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল যেটিতে তাঁকে সেই ভবনে ঢুকতে দেখা যায় যেখানে মৃতা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়েছিল।

প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসকের চার পৃষ্ঠার পোস্টমর্টেম রিপোর্টে জানা যায় যে তাঁকে গলা টিপে হত্যা করা হয়েছিল। শ্বাসরোধের কারণে তাঁর থাইরয়েডের তরুণাস্থি ভেঙে যায় এবং তাঁর গোপনাঙ্গে গভীর ক্ষত পাওয়া গেছে। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে যে , ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা সম্ভবত ৯ আগস্ট ভোর ৩টে থেকে ৫টার মধ্যে ঘটেছিল।

ভারতীয় মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন ১৭ অগস্ট মহিলা ডাক্তারকে ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে ২৪ ঘন্টার দেশব্যাপী ধর্মঘট ডেকেছিল যা আজ সকালে শেষ হয়েছে।

- Advertisement -
Business Desk
Business Desk
Stay informed about the latest business news and updates from Kolkata and West Bengal on Kolkata 24×7
এই সংক্রান্ত আরও খবর
- Advertisment -

Most Popular