কাশ্মীর: ভোর থেকে ভূস্বর্গে সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই

encounter in sopore

নিউজ ডেস্ক: আফগানিস্তানে তালিবানরাজ কায়েম হতেই ভারতের জম্মু-কাশ্মীরে পাক-মদতপুষ্ট জঙ্গিরা বেশ সক্রিয় হয়ে উঠেছে৷ মঙ্গলবার ভোরে জম্মু ও কাশ্মীরের সৌপোরে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী এবং জঙ্গিদের মধ্যে এনকাউন্টার শুরু হয়েছে৷ এ গুলির লড়াইয়ে এক জঙ্গি খতম হয়েছে৷

Advertisements

একই সঙ্গে দুই থেকে তিনজন জঙ্গিকে ঘিরে রেখেছে ভারতীয় সেনা জওয়ানরা৷ জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনী জঙ্গিদের ঘেরাও করেছে৷ তবে আপাতত জঙ্গিদের দিক থেকে গুলি বন্ধ হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে।

   

প্রসঙ্গত, সোমবার এসওজি’র ১০ জন কমান্ডো ছদ্মবেশে ক্রিকেট মাঠ ঘিরে ফেলে এবং দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ) নেতা আব্বাস শেখ এবং উপপ্রধান সাকিব মঞ্জুরকে এনকাউন্টারে হত্যা করে। দু’জনেই দীর্ঘদিন ধরে পুলিশের রাডারে ছিলেন। নিহত জঙ্গিদের কাছ থেকে প্রচুর অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে। দুজনেই বেশ কয়েকজন সাধারণ নাগরিক হত্যায় জড়িত ছিল। তারা স্থানীয় যুবকদের নিয়োগের ক্ষেত্রেও ভূমিকা পালন করছিল। পুলিশের মতে, এটি তাদের একটি বড় সাফল্য।

Advertisements

আইজিপি বিজয় কুমার বলেছিলেন, দুই জঙ্গির সম্পর্কে সুনির্দিস্ট ইনপুট পেয়ে শ্রীনগর পুলিশের ১০ জন কর্মী সাদা পোশাকে গিয়েছিলেন। সেখানে তারা এলাকাটি ঘিরে ফেলে এবং তাদের চ্যালেঞ্জ জানায়। সতর্কবার্তা দেওয়ার পর সেখান থেকে গুলি চালানো হয়৷ যার জবাব দেওয়া হয়।

আব্বাস সন্ত্রাস ছড়িয়েছিলেন এবং নতুন যুবকদের জঙ্গিবাদে যোগ দিতে উদ্বুদ্ধ করতেন৷ যার কারণে শিশুদের বাবা -মা খুবই বিরক্ত হয়েছিলেন। তিনি অভিভাবকদের কাছে আবেদন করেন যেন তাদের সন্তানরা এই পথে না যায়। যারা চলে গিয়েছে তাদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করুন, আমরা তাদের স্বাগত জানাব।

বিজয় কুমার জানান, আব্বাস শেখের নির্দেশেই সাকিব মঞ্জুর শ্রীনগরে অনেক হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিলেন। আরও চারজন জঙ্গি রয়েছে, যারা শীঘ্রই খতম হবে। কয়েক মাস আগে সাকিবের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল৷ যাতে তাকে ফিরানে AK 47 বের করতে এবং দুই পুলিশ সদস্যকে আক্রমণ করতে দেখা যায়। এই হামলায় দুই পুলিশ সদস্যই শহীদ হন।