কলকাতার রাস্তায় ফের মর্মান্তিক ঘটনা। বুধবার সকালে মানিকতলার কাছে বেঙ্গল কেমিক্যাল মোড়ে স্কুলে যাওয়ার পথে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ল ১২ বছরের এক স্কুলপড়ুয়া। বাবার বাইকে চেপে প্রতিদিনের মতোই স্কুলে যাচ্ছিল সে। কিন্তু আচমকা পিছন দিক থেকে দ্রুতগতিতে ছুটে এসে একটি লরি ধাক্কা মারে বাইকে। মুহূর্তে ছিটকে পড়ে কিশোরটি। অভিযোগ, ধাক্কার পরেও লরি থামেনি; সামনের দিকে এগোতেই চাকার তলায় পড়ে গুরুতর জখম হয় ওই পড়ুয়া।
উদ্ধার ছাত্র
চিৎকার শুনে ছুটে আসেন স্থানীয়রা। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই কিশোরকে উদ্ধার করে বাইপাস লাগোয়া একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ছাত্রটির অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহত কিশোর বিধাননগর মিউনিসিপ্যাল স্কুলের ছাত্র বলে জানা গিয়েছে।
স্থানীয়দের তৎপরতায় ধরা পড়ল ঘাতক লরি Kolkata school boy critical after lorry hit
ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়৷ স্থানীয়দের দাবি, “লরিটি ভয়ঙ্কর বেপরোয়াভাবে ছুটছিল। গতি নিয়ন্ত্রণ করতে না-পেরে বাইকটিকে ধাক্কা মারে।” ধাক্কার পরেও থামেনি লরি—এই অভিযোগে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বাসিন্দারা। খুব দূর যেতে না-পেরে স্থানীয়দের হাতেই ধরা পড়ে লরিচালক। খবর পেয়ে ট্রাফিক গার্ড ও ফুলবাগান থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লরি বাজেয়াপ্ত করে, আটক করে চালককে।
বারবার ফিরে আসছে একই দৃশ্য: কলকাতার রাস্তায় স্কুলপড়ুয়া অসুরক্ষিত
গত বছর সল্টলেকে দু’টি বাসের রেষারেষিতে মৃত্যু হয়েছিল মাত্র ১১ বছরের ছাত্র আয়ুষ পাইকের। একই বছরে বাঁশদ্রোণীতে জেসিবির ধাক্কায় প্রাণ যায় এক নবম শ্রেণির ছাত্রের। ২০২৩-এর অগাস্টে বেহালায় লরির তলায় পিষ্ট হয়ে প্রাণ হারায় দ্বিতীয় শ্রেণির সৌরনীল সরকার; আহত হয়েছিলেন তার বাবাও।
এই ঘটনাগুলি শহরের পথনিরাপত্তা নিয়ে গভীর প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। ভারী গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণ, স্কুলপথে নজরদারি বাড়ানো, ও শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা—এসব কি কেবল কাগুজে কথাই হয়ে রইল?
