শহর কলকাতায় এক দম্পতির অভিনব সিদ্ধান্ত। ওই বাবা-মা তাদের সন্তানদের ঐতিহ্যবাহী স্কুলে না পড়িয়ে ‘আনস্কুলিং’-এর পথ বেছে নিয়েছেন। এটি হোমস্কুলিং থেকে আলাদা, যেখানে বাড়িতে নির্দিষ্ট পাঠ্যক্রম অনুসরণ করা হয়। ‘আনস্কুলিং’ হলো শিশুর আগ্রহের ওপর ভিত্তি করে শিক্ষা, যেখানে কোনও আনুষ্ঠানিক পড়াশোনার বালাই নেই, শিশুর আগ্রহই শেখার মূল চালিকা।
অভিনেত্রী শেনাজ ট্রেজারিওয়ালার সঙ্গে কথোপকথনে বাবা জানান, “স্কুল সময় নষ্ট করে। আমরা ব্যবহারিক জ্ঞান আর ভ্রমণের মাধ্যমে শিক্ষায় বিশ্বাস করি। আমরা প্রচুর ঘুরি।” শেনাজ এই সাক্ষাৎকারের ভিডিও ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেন, যা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিওতে শেনাজ বলেন, “এই দম্পতি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাদের সন্তানদের কখনও স্কুলে পাঠাবেন না।”
View this post on Instagram
দম্পতি ব্যাখ্যা করেন, আনস্কুলিং হলো অগোছালো, জীবনভিত্তিক শিক্ষা। তাদের সন্তানরা দৈনন্দিন অভিজ্ঞতা, ওয়ার্কশপ, পাখি দেখা, শিল্প, সাহিত্য ও ইতিহাস ভ্রমণের মাধ্যমে শিখছে। তাদের ক্রিকেটপ্রেমী ছেলে ক্রিকেট থেকে গণিত শেখে। বাবা বলেন, “আনস্কুলিং মানে কোনও নিয়ম নেই, পাঠ্যক্রম নেই। জীবনই শিক্ষক। আমার সন্তানরা সারাদিন কিছু না কিছু শিখছে।”
ক্যারিয়ার নিয়ে প্রশ্নে তিনি বলেন, “আমরা তাদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলছি, তাই ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবি না।” তারা মনে করেন, স্কুল শিশুদের ক্লান্ত করে, কিন্তু তাদের সন্তানরা শেখায় আনন্দ পায়।
ভিডিওর মন্তব্যে আনস্কুলিং নিয়ে মত প্রকাশ করেছেন। একজন লিখেছেন, “আমিও এটা করছি!” আরেকজন বলেন, “এই দম্পতির সাহস অসাধারণ।” তৃতীয়জন মন্তব্য করেন, “অর্থ থাকলে এটা সম্ভব।” কথোপকথনে ছেলেটি শেনাজকে বলে, “আমি বন্ধুদের আনস্কুলিং-এর পরামর্শ দেব, কারণ তারা স্কুলে যেতে চায় না।”
এই অভিনব শিক্ষাপদ্ধতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।