উত্তপ্ত নেপাল! দার্জিলিঙে বাড়ল নজরদারি, বন্ধ কাঠমাণ্ডু-শিলিগুড়ি বাস পরিষেবা

কলকাতা: নেপালের অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতি নতুন মোড় নিল। অবশেষে পদত্যাগ করলেন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। প্রতিবেশী দেশে অশান্তি চরমে পৌঁছনোর পর এবার সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়ে…

Kathmandu-Siliguri bus service suspended

কলকাতা: নেপালের অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতি নতুন মোড় নিল। অবশেষে পদত্যাগ করলেন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। প্রতিবেশী দেশে অশান্তি চরমে পৌঁছনোর পর এবার সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে নবান্ন। উত্তরবঙ্গের সীমান্তবর্তী জেলাগুলির পুলিশ কর্তাদের ইতিমধ্যেই বিশেষ নির্দেশ পাঠানো হয়েছে।

নবান্ন সূত্রে খবর, সোমবারই রাজ্যের ডিজি রাজীব কুমার দার্জিলিং জেলার এসপি, শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের সিপি এবং উত্তরবঙ্গের আইজি-কে সতর্কতামূলক নির্দেশ দিয়েছেন। সীমান্ত এলাকায় বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। যৌথ টহলদারিতে নেমেছে পুলিশ ও সীমান্তরক্ষী বাহিনী। শুধু স্থলসীমান্ত নয়, সোশ্যাল মিডিয়াতেও চলছে কড়া নজরদারি।

   

রক্তক্ষয়ী বিক্ষোভে উত্তাল কাঠমান্ডু

নেপালের পরিস্থিতি এখন কার্যত বিস্ফোরক। সরকার বিরোধী বিক্ষোভে ইতিমধ্যেই প্রাণ হারিয়েছেন ২০ জনেরও বেশি মানুষ। শুধু রাজধানী কাঠমান্ডুতেই নিহত ১৭। সুনসারি জেলায় মৃত্যু হয়েছে আরও দু’জনের। আহত হয়েছেন ৩০০-রও বেশি মানুষ। সোমবার কাঠমান্ডুর মৈতিঘরে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী রাস্তায় নামেন। তাঁদের মূল দাবি— সরকারে স্বচ্ছতা এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা।

বিক্ষোভের সূত্রপাত সরকারের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যানকে কেন্দ্র করে। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, ইউটিউব, স্ন্যাপচ্যাট সহ ২৭টি প্ল্যাটফর্মে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ওলি সরকার। যদিও প্রবল জনরোষের মুখে পরে সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হয়েছে। কিন্তু ততক্ষণে দাউ দাউ করে জ্বলে উঠেছে তরুণদের ক্ষোভ। কার্ফু জারি করেও থামানো যায়নি ‘জেন জেড’ আন্দোলন।

সরকারের ভেতরে ভাঙন Kathmandu-Siliguri bus service suspended

রাজনৈতিক অস্থিরতা আরও ঘনীভূত হয়েছে একের পর এক মন্ত্রীর পদত্যাগে। কৃষিমন্ত্রী রামনাথ আধিকারী প্রকাশ্যে সরকারের দমননীতির সমালোচনা করে ইস্তফা দিয়েছেন। তার আগেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখাক নৈতিক দায় স্বীকার করে পদত্যাগ করেছিলেন। ফলে ওলি সরকারের ভিত আরও নড়বড়ে হয়ে পড়েছে।

Advertisements

আন্তর্জাতিক উদ্বেগ ও ভারতের প্রতিক্রিয়া

অশান্ত নেপালের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মহল। রাষ্ট্র সংঘের রেসিডেন্ট কো-অর্ডিনেটর হানা সিঙ্গার-হ্যামডি নিহতদের পরিবারকে সমবেদনা জানিয়ে দুই পক্ষকেই সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছেন।

ভারতও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সোমবার বিদেশ মন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানায়, “নেপালের পরিস্থিতির উপর আমাদের নজর রয়েছে। বহু তরুণের মৃত্যুর ঘটনায় আমরা শোকাহত। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। আমাদের বিশ্বাস, দুই পক্ষই শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করবে।”

একই সঙ্গে কাঠমান্ডুসহ একাধিক শহরে কার্ফু জারির প্রেক্ষিতে নেপালে অবস্থানরত ভারতীয় নাগরিকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে ভারত সরকার। বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, নেপালি প্রশাসনের জারি করা সব নির্দেশ মেনে চলতে হবে।

West Bengal: Nepal’s Prime Minister K.P. Sharma Oli has resigned amid violent anti-government protests over a social media ban. The unrest has led to over 20 deaths, prompting West Bengal to heighten security along its border with Nepal.