West Bengal: গ্রুপ ডি মামলায় ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ চাকরি প্রার্থীরা

গত সপ্তাহেই পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) স্কুল সার্ভিস কমিশনের গ্রুপ ডি পদে ১৯১১ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta HC) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

Calcutta HC

গত সপ্তাহেই পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) স্কুল সার্ভিস কমিশনের গ্রুপ ডি পদে ১৯১১ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta HC) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়৷ সোমবার সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হলেন চাকরি যাওয়া গ্রুপ ডি কর্মীরা। বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি উঠেছে। যাঁরা মামলা করেছেন, মামলাকারীদের হয়ে সওয়াল করছেন আইনজীবী অরুণাভ ঘোষ, অনিন্দ্য লাহিড়ী এবং পার্থ দেববর্মণ।

উল্লেখ্য, নিয়মে না মেনে সুপারিশের অভিযোগে গ্রুপ ডি পদে ১৯১১ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়৷ তাঁর নির্দেশ, এই ১৯১১ জনকে চাইলে জিজ্ঞাসাবাদ করবে সিবিআই। একইসঙ্গে চাইলে সিবিআই এদেরকে হেফাজতে নিতে পারে৷ এমনটাও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল৷

এর পাশাপাশি বিচারপতির প্রশ্ন, যে সময়ে এই ১৯১১ জনের সুপারিশ কে করেছে? তা জিজ্ঞেস করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কমিশনের আইনজীবী জানান, এই সময় কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন সুবীরেশ। বিচারপতির নির্দেশ, সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে জানাতে হবে কারা এই নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত? এমনকি নাম জানাতে ভয় পেলে তাঁর জন্য উপযুক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে। আদালতের আরও বড় নির্দেশ, যতক্ষণ না সুবীরেশ ভট্টাচার্য নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করছেন, তিনি তাঁর পিএইচডি, স্নাতকোত্তর ডিগ্রি ব্যবহার করতে পারবেন না। একইসঙ্গে বিচারপতির বক্তব্য, নাম না জানালে মনে করে নেওয়া হবে সুবীরেশ ভট্টাচার্য নিয়োগ দুর্নীতির প্রধান মাথা।

এর আগে গ্রুপ ডি পফে ৬০০ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন বিচারপতি৷ তাই মোট আড়াই হাজার পদে অবিলম্বে নিয়োগের নির্দেশ দেন বিচারপতি। আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে সেই নিয়োগের নির্দেশ দেন তিনি। এখন আবার মামলা ডিভিশন বেঞ্চে গড়াতেই নতুন করে আইনি জটিলতা শুরু হয়েছে৷