পাঁচিল ঝুলে পালানোর চেষ্টা করেও পারেনি। এবার জেলে যাবেই জীবন। এমনই গুঞ্জন তৃণমূলের ভিতর। মুর্শিদাবাদের বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) তদন্তে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। জানা যাচ্ছে অন্তত গোটা আষ্টেক বিধায়কের নাম বলেছে জীবনকৃষ্ণ সাহা (Jiban Krishna Saha)। কে কে তারা? চাপা আতঙ্কে কাঁপছে তৃণমূল।
দীর্ঘ ৬৫ ঘন্টা ধরে তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদের পর বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তথ্য লুকিয়ে দিতে দুটি মোবাইল বাড়ির পুকুরে ফেলে দিয়েছিলেন বিধায়ক। সেই মোবাইল উদ্ধারে কালঘাম ছুটেছে সিবিআইয়ের। নিয়োগে দুর্নীতিতে জড়িয়ে থাকার অভিযোগে এবং তদন্তে অসহযোগিতার কারণ দেখিয়ে জীবনকৃষ্ণকে গ্রেফতার করা হয়।
জেলা তৃণমূল নীরব। রাজ্য তৃণমূল নীরব। দুর্নীতির অভিযোগে চরম নাটকীয় পরিবেশ শাসক দলের বিধায়ক গ্রেফতারের পরেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নীরব।
ধৃত বিধায়ককে কি দল থেকে সরানো হবে? প্রশ্ন উঠছে। যদিও এর আগে বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য জেলে গেছেন।তাকে বিধায়কের পদ থেকে সরানো হয়নি। তবে নিয়োগ দুর্নীতিতে জেলে যাওয়া মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়েছেন মমতা। কিন্তু বিধায়ক পদেই আছেন পার্থ।