অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শপথ নিলেও বাংলাদেশে এখনও শান্তি ফেরেনি। বিক্ষিপ্ত হিংসার ঘটনাও ঘটছে। আর তাই ‘প্রাণ বাঁচাতে’ ভারতে (Jai Shri Ram) ঢোকার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে বাংলাদেশের বাসিন্দারা। কোচবিহারের শীতলখুচির পাঠানটুলি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে এদিন সকাল থেকেই হাজির হয়ে যান শয়ে শয়ে বাংলাদেশি। সকলেরই লক্ষ্য ভারতে ঢোকা।
বাংলাদেশে কোনওভাবেই থাকতে চান না তাঁরা। জিরো পয়েন্টে দাঁড়িয়ে ভারতে ঢোকার আবেদন জানাতে থাকেন বাংলাদেশিরা। বিএসএফএফের মন গলাতে কেউ কেউ আওয়ামী লীগের (শেখ হাসিনার পার্টি) নাম নিয়ে স্লোগান দিতে শুরু করেন। কেউ কেউ ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দেন। যদিও বিএসএফ তাঁদেরকে ফেরত পাঠিয়ে দেয়।
বিএসএফ সূত্রে খবর, বাংলাদেশের লালমণিরহাট জেলার গাইবান্দা, পশ্চিম গোতামারি, পূর্ব গোতামারি, ডাকুয়াটারি এলাকা থেকে ওই বাসিন্দারা এসেছেন। হাসিনার সমর্থনে স্লোগান দেওয়ার পাশাপাশি ‘জয় ভারত মাতা’, ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। যদিও বিএসএফের ১৫৭ ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা তাঁদের জিরো পয়েন্টে আটকে দেন।
ভরসা দিদিই! মাছ চেয়ে মমতার কাছে হাত পাতছে বিজেপিশাসিত বিভিন্ন রাজ্য
এদিকে সোমবার থেকে ভারতের আশ্রয়েই রয়েছেন হাসিনা। অন্য কোনও দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় না মেলা পর্যন্তই হাসিনাকে থাকতে দিতে রাজি হয়েছে দিল্লি। হাসিনা গাজিয়াবাদে নামার পরই সেই নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা হয় জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। যদিও হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় জানিয়েছেন, ভারতেই থাকছেন হাসিনা। অন্যত্র যাওয়ার পরিকল্পনা নেই।
অবশ্য এখন ভারতে থাকলেও বাংলাদেশে ফেরার পরিকল্পনা রয়েছে শেখ হাসিনার, এমনই দাবি করেছেন জয়। তাঁর কথায়, ১৫ উপদেষ্টার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে সাধারণ নির্বাচনের হওয়ার কথা। সেই নির্বাচনের সময় দেশে ফিরবেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার একথা জানালেন হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
একই সঙ্গে নন্দিত-নিন্দিত, ব্যতিক্রমী হিসাবেই বুদ্ধদেব চিরস্মরণীয় বঙ্গ রাজনীতিতে