দেবী দুর্গার আরও এক রূপ দেবা জগদ্ধাত্রী আরাধনা (Jagadhatri Puja) শুরু। প্রথা ও রীতি নির্ঘণ্ট মেনে সাড়ম্বরে উৎসব চলছে রাজ্যের দুই প্রাচীনতম বর্ধিষ্ণু জনপদ হুগলির চল্দননগর (Chandannagar) ও নদীয়ার কৃষ্ণনগরে (Krishnanagar)। সাবেকিয়ানার প্রতিমার পাশাপাশি বিপুল আলোর সম্ভার ও থিমের জৌলুস চমক দিচ্ছে এবারেও।
জগদ্ধাত্রী আরাধনায় আলোর বাহারের জন্য বিখ্যাত চন্দননগর। লক্ষাধিক দর্শনার্থী চন্দননগরে যাচ্ছেন। রেলের তরফে বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
হুগলি জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, কমপক্ষে পাঁচ লাখ দর্শনার্থী সমাগমের সম্ভাবনা রয়েছে শহর চন্দননগর ও তার তৎসংলগ্ন এলাকায়। দর্শনার্থীদের সুবিধার জন্য ফেরিঘাট, স্টেশনে থাকছে ব্যবস্থা। যারা সড়ক পথে আসবেন তাদেরও জন্য থাকছে ব্যবস্থা।
নিরাপত্তার জন্য অন্য জেলা থেকে পুলিশ আনা হয়েছে। প্রায় আড়াই হাজার পুলিশ মোতায়েন থাকবে এবছর।
জগদ্ধাত্রী আরধনা চলছে কৃষ্ণনগরে। পুরনো সবেক পুজোর পাশাপাশি থিম পুজোতে কৃষ্ণনগর দিচ্ছে চমক। কথিত আছে রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সময় থেকেই বঙ্গভূমিতে জগদ্ধাত্রী আরাধনা শুরু। কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির সামনে থেকে প্রতিমা নিয়ে যাওয়া হয় জলঙ্গী নদীর তীরে। সেখানেই হয় বিসর্জন।
নদীয়া জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, কলকাতা ও শিয়ালদহ থেকে বিভিন্ন জেলার দর্শনার্থীদের সমাগম হবে কৃষ্ণনগরে। থাকছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা।