ISF: ‘জয়ী’ জাহানারা কি জীবিত? ভাঙড়ের সর্বত্র আতঙ্ক

পঞ্চায়েত ভোট গণনার সময় বারবার সামাজিক মাধ্যমে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (ISF) সমর্থকরা দাবি করছিলেন জেলা পরিষদের ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসকে হারিয়েছেন আমাদের প্রার্থী জাহানারা বিবি (জাহানারা…

পঞ্চায়েত ভোট গণনার সময় বারবার সামাজিক মাধ্যমে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (ISF) সমর্থকরা দাবি করছিলেন জেলা পরিষদের ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসকে হারিয়েছেন আমাদের প্রার্থী জাহানারা বিবি (জাহানারা বেগম)। অথচ তাকে জয়ের সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছে না। গণনার রাতে ভয়াবহ সংঘর্ষে রক্তাক্ত হয়ে যায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের বিস্তির্ণ অঞ্চল। পরপর গুলিবিদ্ধ হবার খবর আসতে থাকে। এর মাঝে নিখোঁজ হয়ে যান জাহানারা বেগম ও তাঁর স্বামী। তাদের নিয়েই ভাঙড় জুড়ে প্রশ্ন,’ওরা কি বেঁচে আছে?’

আইএসএফ কর্মী সমর্থকদের অনেকের অভিযোগ,গুলি করা হয়েছিল। তার পর থেকে জাহানারা বেগম ও তার স্বামী করিমুল মোল্লার খোঁজ নেই। উঠছে লাস গুম করার অভিযোগ। বাম – আইএসএফ জোটের দুই প্রার্থী কোথায়? এই প্রশ্ন ঘিরে বাড়ছে বিতর্ক।

মনোনয়ন পর্ব, ভোট গ্রহণ, ভোট গণনা সবকিছু শেষ হওয়ার পরেও এখনো পর্যন্ত উত্তপ্ত গোটা ভাঙড়। গণনার রাতে যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল গোটা এলাকা সেই দিন থেকে নিখোঁজ এক আইএসএফ প্রার্থী ও জাহানারা খাতুনের স্বামী। অভিযোগ, গোটা ঘটনায় নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, গণনার দিন আইএসএফের জয় নিশ্চিত হওয়ার কিছুক্ষণ পরে তাদের জানানো হয় যে তৃণমূল ৫০০ ভোটে জয়ী হয়েছে। জয় উল্লাসের সময় থেকে এক ISF প্রার্থী ও জাহানারা খাতুনের স্বামীকে আটকে রাখা হয় বলে অভিযোগ।

গণনা কেন্দ্র জাহানারা ও তার স্বামীকে পুলিশ গিয়ে তাদের হুমকি দেয় বলে অভিযোগ উঠছে। তার পর থেকে দুজনই নিখোঁজ। সেই রাতেই পরপর বোমা বিস্ফোরণ ও গুলিবিদ্ধ হয়ে একাধিক মৃত্যু হয় ভাঙড়ে। গুলিবিদ্ধ হয়ে জখম হন পুলিশ কর্তা ও দেহরক্ষী। অতিরিক্ত তিন কোম্পানির সেনা মোতায়েন করার পরেও এখানে পর্যন্ত উত্তপ্ত ভাঙড়।

আইএসএফ প্রার্থী জাহানারা বেগমের আত্মীয়দের অভিযোগ, পুলিশ তাদের হুমকি দিচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে রীতিমতো ভীত সন্ত্রস্ত্র কারিমুল মোল্লার মা অর্থাত জাহানারার শাশুড়ি। তারাও হামলার আশঙ্কা করছেন। কেউ কেউ পরিবারের সদস্যদের হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছে। ভাঙড় জুড়ে ভয়ের রাজত্ব।