নজরে বিএসএফ! সীমান্তে কী করছে বাংলাদেশ? চাঞ্চল্যকর তথ্য গোয়েন্দা রিপোর্টে

কলকাতা: ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত ঘিরে ফের বাড়ছে উদ্বেগ। সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে গোপনে নজরদারি কমিটি গঠনের তথ্য উঠে এসেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টে। সন্দেহ, এই কমিটিগুলি গঠন করে…

India Bangladesh Border Security

কলকাতা: ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত ঘিরে ফের বাড়ছে উদ্বেগ। সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে গোপনে নজরদারি কমিটি গঠনের তথ্য উঠে এসেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টে। সন্দেহ, এই কমিটিগুলি গঠন করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ-এর গতিবিধির উপর সরাসরি নজরদারি চালানোর চেষ্টা করছে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (BGB)।

গোয়েন্দারা রিপোর্টটি ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে জমা দিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। সীমান্তে অনুপ্রবেশ, উত্তেজনা এবং রাজনৈতিক টানাপোড়েনের আবহে এই রিপোর্ট অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও উদ্বেগজনক বলে মনে করছে প্রশাসনের একাংশ।

   

গ্রামে গ্রামে ‘কমিটি’, তদারকিতে বিজিবির অফিসাররা

গোয়েন্দা রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী একাধিক গ্রামে বিজিবির উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা সরাসরি উদ্যোগে গ্রামবাসীদের নিয়ে “কমিটি” তৈরি করছেন। এই কমিটির মূল কাজই হল  বিএসএফ এবং সীমান্তের ভারতীয় এলাকার উপর নিয়মিত নজরদারি চালানো।

রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, এই কমিটিগুলিকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে কীভাবে সন্দেহভাজন চলাচল বা সীমান্ত সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করে তা বিজিবির হাতে তুলে দিতে হবে।

 চরবৃত্তি নাকি জবাবি কৌশল? প্রশ্ন উঠছে নানা মহলে India Bangladesh Border Security

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের কমিটি সীমান্ত নিরাপত্তায় নতুন ধরনের হুমকি তৈরি করতে পারে। ভারতের অভ্যন্তরীণ গতিবিধি সম্পর্কে তথ্য পাচার কিংবা সীমান্ত এলাকায় বিভ্রান্তি ছড়ানোর মতো কৌশলের আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

Advertisements

প্রাক্তন গোয়েন্দা কর্তা এক মন্তব্যে বলেন, “এই ধরণের চরকাজ স্থানীয় বাসিন্দাদের মাধ্যমে চালালে তা ধরা কঠিন হয়। এটা যদি রাষ্ট্রীয় অনুমোদন পায়, তাহলে তা আন্তর্জাতিক নিয়ম লঙ্ঘন।”

পালাবদলের পরে পরিবর্তন, উত্থান সন্ত্রাসের?

রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে, বাংলাদেশে ইউনূস সরকারের ক্ষমতায় আসার পরই সীমান্তের পরিস্থিতি ক্রমশ অস্বচ্ছ ও জটিল হয়ে উঠছে। উঠে এসেছে আশঙ্কাজনক আরও কিছু তথ্য— পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা ISI-এর সঙ্গে বাংলাদেশি সেনা আধিকারিকদের সাম্প্রতিক একাধিক গোপন বৈঠকের প্রসঙ্গ। গোয়েন্দাদের সন্দেহ, এই নজরদারি কমিটি তৈরির পিছনে ওই বৈঠকের ভূমিকা থাকতে পারে।

সেই সঙ্গে উত্তর ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া-সহ একাধিক সীমান্ত জেলা থেকে উঠে এসেছে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ ও নির্যাতনের অভিযোগ। সীমান্ত পেরিয়ে আসা নাগরিকদের বয়ানেও মিলেছে অত্যাচারের ইঙ্গিত।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক কী বলছে?

এখনও পর্যন্ত সরকারিভাবে কেন্দ্র কোনও বিবৃতি দেয়নি। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে ইঙ্গিত, রিপোর্টটি নিয়ে খুঁটিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। পরিস্থিতি অনুযায়ী রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক স্তরে পদক্ষেপ করা হতে পারে।