নওশাদের দলে ভাঙন, ISF ছেড়ে শতাধিক গেল শওকতের দল তৃণমূলে

ভাঙড়ে ISF ভাঙন। আইএসএফ ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন ভাঙরের প্রাণগঞ্জ অঞ্চলের আইএসএফ নেতা সাবির শিকারি সহ প্রায় ১০০ জন আইএসএফ কর্মী। শওকত মোল্লার হাত ধরে…

ভাঙড়ে ISF ভাঙন। আইএসএফ ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন ভাঙরের প্রাণগঞ্জ অঞ্চলের আইএসএফ নেতা সাবির শিকারি সহ প্রায় ১০০ জন আইএসএফ কর্মী। শওকত মোল্লার হাত ধরে তৃণমূলে যোগদান দিলেন তারা। সাবিরের দাবি নওশাদ উন্নয়ন করছে না, তৃণমূল এলাকার উন্নয়ন করছে ।

গতকাল তৃণমূল নেতা শওকত মোল্লা বলেন, “গান্ধীবাদী মতাদর্শ হলে হবে না, বিপ্লবী মতাদর্শ হতে হবে। বিষয়টা মাথায় রাখতে হবে। যে ঘটনা আইএসএফ-এর তরফে ঘটিয়েছে তাদেরকে চরম মূল্য দিতে হবে। দুদিন আগে তৃণমূল দুই কর্মী খুন হয়ে যেতেই পারতো। তাই আমাদের ছেলেদের বলব দেউলিঅন ও সারাঙ্গাবাদের আইএসএফ যারা যারা ঐ এলাকায় ফিসারি ব্যবসা করছে। আজ থেকে তারা যেন না যায় ঐ এলাকায়, তার ব্যবস্থা করতে হবে। কেননা এই আইএসএফ যখন তখন ওখানে খুন করতে পারে”।

   

সভা থেকে শওকত বলেছেন, ‘তাই রাজনৈতিকভাবে আমাদেরকে মোকাবিলা করতে হবে। এবং সেই লড়াইতে আমাদের যদি আরও দুটো খুন হতে হয় বা রক্ত ঝরলেও, কিন্তু কোনভাবে শত্রুর সঙ্গে এক ইঞ্চি কম্প্রোমাইজ করবো না। ছেলেরা সব তৈরি তো’।

তিনি আরও বলেন, ‘প্রশাসনের উপরে আমাদের আস্থা আছে। ঐদিন আমাদের দুই কর্মী মার্ডার হতে গিয়েও হয়নি। প্রশাসন যদি ওদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দিতে পারে তাহলে এখানকার জনগণ ওদের শাস্তির ব্যবস্থা করবে। ওদের বাচাতে কেউ পারবেনা ঐ এলাকায়। জিনা হারাম করে দেব’। এইভাবে প্রতিবাদ সভা থেকে একের পর এক হুঁশিয়ারির সুরে বিরোধীদের উদ্দেশ্যে কথা বলেন বিধায়ক শওকত মোল্লা ।

এর কারন গত শুক্রবার এক নম্বর ব্লকের বদরা অঞ্চলের খরগাছি এলাকায় ISF এর দলীয় ব্যানার লাগানোকে কেন্দ্র করে ISF ও তৃণমূলের মধ্যে একটা সংঘর্ষ হয়। সেই ঘটনায় দুজন তৃণমূল কর্মীকে ধারালা অস্ত্র দিয়ে কোপানোর অভিযোগ উঠেছিল ISF এর বিরুদ্ধে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল ISF-এর কর্মীদের ব্যানার লাগাতে বাধা দেয় তারা। এমনকি তাদের মারধর করে। ওই এলাকায় গুলি চালানোরও অভিযোগ উঠেছিল। যদিও গোটা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছিল ভাঙড় থানার পুলিস।

সেই ঘটনার প্রতিবাদে ওই এলাকায় তৃণমূলের প্রতিবাদ সভা হয়। আর সেই সভায় থেকে ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা, হুঁশিয়ারি সুরে আইএসএফ-এর বিরুদ্ধে কথা বলেন। এর পরেই রাজনৈতিকভাবে ওই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ২১ জানুয়ারি আইএসএফ-এর প্রতিষ্ঠা দিবসের আগে।