কারা এসেছিল রাতে ? তারা কি পুলিশ নাকি পুলিশ পোশাকে ছদ্মবেশ নেওয়া কোনও গোষ্ঠীর? দুই প্রশ্নের মাঝে ‘আনিস হত্যা’ সূত্র অধরা। এদিকে উত্তপ্ত হচ্ছে হাওড়ার (Howrah) আমতা। অভিযোগ, এই ছাত্র নেতাকে তিনতলা বাড়ির ছাদ থেকে ঠেলে ফেলে ‘খুন’ করা হয়েছে।
বাম সংগঠন এসএফআই দাবি করেছে মৃত ছাত্র আনিস খান তাদের সংগঠনের সদস্য ও আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতা। এলাকাবাসীরা বলছেন, আগে এসএফআই করলেও পরে আনিস ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টে (আইএসএফ) যোগ দিয়েছিল।
মৃত আনিস খান (২৮) আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন পড়ুয়া। কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতার ছাত্র। আনিসের বাড়ি আমতীর সারদা খাঁ পাড়ায়।
বিজেপি বিরোধী নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ও রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলনে নেমেছিলেন আনিস। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক বিভিন্ন কাজে বিক্ষোভ আন্দোলনেও তিনি ছিলেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে বেশ কয়েকবার হুমকি বার্তা পেয়েছিলেন আনিস।
অভিযোগ, শুক্রবার রাতে পুলিশ ও সিভিক ভলান্টিয়ারের পোশাক পরা কয়েকজন এসে আনিসের খোঁজ করে। তার বাবাকে বন্দুক দেখিয়ে আটকে রাখে। এরপর আনিসকে ঘর থেকে ছাদে নিয়ে গিয়ে ধাক্কা মেরে ফেলা হয়। উঁচু থেকে পড়ে মাথায় ধাক্কা লেগে আনিসের মৃত্যু হয় ঘটনাস্থলেই।
আরও অভিযোগ, এলাকাবাসী কিছু সন্দেহ করতেই তারা দ্রুত ঘটনাস্খল ত্যাগ করে। থানা থেকে পুলিশ যায়নি বলেই জানানো হয়েছে। রক্তাক্ত আনিসকে পরে চিকিৎসকরা মৃত বলে জানান।
ঘটনার পর থেকে ক্রমে উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহল। সিপিআইএম শীর্ষ নেতা মহম্মদ সেলিম এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি করেছেন। বাম ছাত্র সংগঠনের তরফে আনিসের রহস্যজনক মৃত্যুকে খুন বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। এমনকি এলাকাবাসীও এই ঘটনাকে ঠান্ডা মাথায় খুন বলে মনে করছেন।