হাওড়ায় গাড়ি ভর্তি টাকা উদ্ধার, কংগ্রেস-তৃণমূলকে আক্রমণ বিজেপির

হাওড়ার রানীহাটির ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে উদ্ধার হয়েছে গাড়ি ভর্তি টাকা ও সোনা। এই বিপুল সম্পদ কোথা থেকে এল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু…

huge gold and cash recovered from Jharkhand Congress mlas car in howrah

হাওড়ার রানীহাটির ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে উদ্ধার হয়েছে গাড়ি ভর্তি টাকা ও সোনা। এই বিপুল সম্পদ কোথা থেকে এল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলে৷ যা নিয়ে একযোগে কংগ্রেস ও তৃণমূলকে আক্রমণ করলেন হাওড়া গ্রামীণের বিজেপি সভাপতি অরুণোদয় পালচৌধুরী৷

তিনি বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস ও কংগ্রেস একই টাকার এপিঠ ও ওপিঠ। কংগ্রেস বিধায়কদের গাড়ি থেকে যে বিপুল পরিমাণ টাকা পাওয়া গেছে৷ কিছুদিন আগেই আমরা টিভির পর্দায় দেখেছি৷ টাকায় মানুষ ফ্ল্যাট কেনে বসবাসের জন্য। আর তৃণমূলের শিক্ষামন্ত্রী পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতি তাতে দেখা যাচ্ছে ফ্ল্যাটে ভর্তি টাকা।

বিজেপি নেতার কথায়, মোদি জী ডাক দিয়েছিলেন কংগ্রেস মুক্ত ভারত৷ কংগ্রেস ও পরিবাতান্ত্রিক দল একটা৷ তৃণমূলও পরিবারতান্ত্রিক দল৷ এই দলগুলির চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য দুর্নীতি করা এবং লুঠপাঠ করা। পাচার করার জন্যই হোক, যা জন্যেই হোক, গাড়ি করে নিয়ে যাচ্ছিল ধরা পড়েছে৷ এগুলো তদন্ত হলে রথী মহারথীরা ধরা পড়বে৷ যারা টাকা নিয়ে যাচ্ছিল তাঁদের মাথা আছে৷ কান টানলে মাথা আসবে৷

উল্লেখ্য। শনিবার ঝাড়খণ্ডগামী গাড়ি থেকে উদ্ধার বাণ্ডিল বাণ্ডিল টাকা ও সোনাদানা। হাওড়ার পাঁচলায় ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে টাকা উদ্ধার করা হয়েছে৷ বিপুল পরিমাণ টাকা কোথা থেকে উদ্ধার হয়েছে? তা খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে পুলিশ৷ আটক ঝাড়খণ্ডের তিন কংগ্রেস বিধায়ক।

পুলিশ সূত্রে খবর, তিন কংগ্রেস বিধায়কের নাম রাজেশ কাশ্যপ, নমন দীক্ষিত এবং ইরফান আনসারী। গাড়ি, টাকা সহ তিন বিধায়কদের পাঁচলা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ বিপুল পরিমাণের টাকা গোনার জন্য আনা হয়েছে কাউন্টিং মেশিন। কী কারণে এত বিপুল টাকা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল? কোথা থেকে এত টাকা এল? সবটাই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এমনটাই জানিয়েছেন হাওড়া পুলিশ সুপার স্বাতী ভাঙ্গালিয়া।

এবিষয়ে অবশ্য মুখ খুলতে নারাজ তৃণমূল। রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী পুলক রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল কলকাতা ২৪x৭৷ তিনি জানিয়েছেন, এবিষয়ে বিস্তারিত না জেনে কিছু বলবেন না৷ আবার তৃণমূলের তরফে দাবি করা হচ্ছে, কোথা থেকে টাকা এল? এই পাচারের সঙ্গে কারা জড়িত সেটা তদন্ত করে দেখা হোক। পাশাপাশি তদন্তের জন্য কোনও কেন্দ্রীয় সংস্থা স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করবে কি না? প্রশ্ন তুলেছে ঘাসফুল শিবির৷