পর্যটকদের জন্য সুখবর, দুর্গাপুজোর পরই খুলতে পারে হলং বনবাংলো

অরণ্যে ঘেরা উত্তরবঙ্গের অন্যতম ঐতিহ্য হলং বনবাংলো। গত মাসে যা কার্যত ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছিল। বহু ইতিহাসের সাক্ষীর এই দুরাবস্থায় মন খারাপ হয়ে যায় পর্যটকদের। বাংলোর…

hollong bunglow of Jaldapara may be opened after Puja

অরণ্যে ঘেরা উত্তরবঙ্গের অন্যতম ঐতিহ্য হলং বনবাংলো। গত মাসে যা কার্যত ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছিল। বহু ইতিহাসের সাক্ষীর এই দুরাবস্থায় মন খারাপ হয়ে যায় পর্যটকদের। বাংলোর পুনর্নির্মাণের দাবি ওঠে। অবশেষে সেই দাবিপূরণের পথে। বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা জানিয়েছেন, এখন হলং বনবাংলো সংস্কারের কাজ চালাচ্ছে বনদফতর। সম্ভবত দুর্গাপুজোর পরই খুলে দেওয়া হতে পারে হলং বনবাংলো। যী শীতে এবার বাড়তি পাওনা হবে জলদাপাড়ায় যাওয়া পর্যটকদের কাছে।

হলংয়ের ইতিহাস-

   

অসম এবং অরুণাচল প্রদেশে হলং গাছ জনপ্রিয়। উত্তরপূর্বের এই দুই রাজ্যেই ‘স্টেট ট্রি’ হলং। যার বিজ্ঞানসম্মত নাম ডিপটেরোকার্পাস রেটাসাস। এই গাছ অত্যন্ত পবিত্র বলেই বিশ্বাস করেন মোরান উপজাতি মানুষজন। সেই বিখ্যাত হলং কাঠ দিয়েই তৈরি হয়েছিল হলং বনবাংলোটি। তাই এই বাংলোটির নাম ‘হলং’।

পরে অবশ্য হলং বাংলোর সংস্কার হয়। তখন হলংয়ের বদলে বনবাংলো তৈরি হয় সেগুন কাঠ দিয়ে। ১৯৬৭ সালে পাহাড়ের কোলে, অরণ্যের রোমাঞ্চে এবং পাখির কলকাকলিতে- হলং নদীর তীরে গড়ে ওঠে হলং বনবাংলো।

হলং-য়ে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ-

গত ১৮ জুন জলদাপাড়ার ঐতিহ্যশালী হলং বনবাংলো পুড়ে গিয়েছিল। আগাগোড়াই পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত পছন্দের ছিল হলং বাংলো। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু জলদাপাড়ায় গিয়ে থাকতেন এই বনবাংলোয়। সেই বনবাংলো আগুনে ভস্মীভূত হয়ে য়ায়। কেমন করে আগুন লেগেছিল?‌ উঠেছিল ষড়যন্ত্রের অভিযোগ। যদিও সেই অভিযোগ নস্যাৎ করেছে বনদফতর।

রূপ বদলে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে ডেঙ্গু! স্বাস্থ্য ভবনের একগুচ্ছ নির্দেশিকা

হলং বনবাংলোয় আগুন লাগার কারণ নির্ণয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সেই তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী, শর্ট সার্কিট থেকে ওই বাংলোয় আগুন লেগেছিল।

অতীত ভুলে…

মন খারাপের মাঝেই উত্তরবঙ্গের ট্যুর অপারেটররা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে চিঠি লিখে ছিলেন হলং বনবাংলো সাড়িয়ে তোলার আর্জিতে। পর্যটকদের অনেকেও মুখ্যমন্ত্রীকে স্মৃতির কথা জানিয়ে চিঠি দিয়েছিলেন। অনুরোধ ছিল ফের তা আগের তেহারায় ফিরিয়ে দেওয়ায়। তাতেই সাড়া দেন মুখ্যমন্ত্রী। সংস্কারের কাজে হাত দেয় প্রশাসন। সেই কাজ চলছে। সব ঠিক থাকলে মন্ত্রীর দাবি অনুযায়ী, দুর্গাপুজোর পরই সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হতে পারে হলং বনবাংলো।