১২ জেলায় ভারী বৃষ্টি, IMD জানাল আগামী ৭ দিনের পূর্বাভাস

West Bengal Rain Forecast

আবারও বাংলার আকাশে বর্ষার দাপট (Rain Alert)। মৌসুমী অক্ষরেখা বর্তমানে চণ্ডীগড়ের পর পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব দিকে হিমালয়ের পাদদেশ ধরে অরুণাচল প্রদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত। এর পাশাপাশি, একটি ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে মধ্য বাংলাদেশের সংলগ্ন অঞ্চলে, যা দক্ষিণ দিকে হেলান দিয়ে আছে। এই দুইয়ের মিলিত প্রভাবে আগামী সাতদিন ধরে রাজ্যজুড়ে বজায় থাকবে বৃষ্টি এবং ঝোড়ো হাওয়ার দাপট।

Advertisements

আলিপুর আবহাওয়া দফতরের সর্বশেষ পূর্বাভাস অনুযায়ী, উত্তরবঙ্গে আগামী এক সপ্তাহ ধরে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং, কালিম্পং ও কোচবিহার জেলার উপরে বেশি প্রভাব পড়বে। বৃহস্পতিবার থেকে রবিবার পর্যন্ত এই পাঁচটি জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি চলবে। সোমবার আবারও অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, দার্জিলিং ও আলিপুরদুয়ার জেলার জন্য। কোচবিহার জেলায় ভারী বৃষ্টি চলবে এই সময়ে।

দক্ষিণবঙ্গের চিত্রও কিছু কম নয়। আগামী ২৪ ঘণ্টায় পুরুলিয়া, পশ্চিম ও পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম ও মুর্শিদাবাদে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। একই সঙ্গে পূর্ব বর্ধমান, বাঁকুড়া, হুগলি, নদিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি হয়েছে। এছাড়াও ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা হাওয়া বইতে পারে।

শুক্রবার পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম ও দক্ষিণ ২৪ পরগণায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। অন্যদিকে, শনিবার বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়। মঙ্গলবার ও বুধবার দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় দু-এক পশলা বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে।

Advertisements

এই আবহাওয়ার পরিস্থিতির জেরে বঙ্গোপসাগর উত্তাল থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। সমুদ্রে বইবে ৫০ থেকে ৬০ কিমি প্রতি ঘণ্টার গতিতে দমকা হাওয়া। সেই কারণে বাংলা ও ওড়িশা উপকূলে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। উপকূলবর্তী এলাকায় জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা থাকায় বোট চলাচল এবং বিনোদনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পরামর্শ দিয়েছে দফতর।

এছাড়া আগামী সপ্তাহে দক্ষিণবঙ্গে তাপমাত্রা সামান্য বাড়বে এবং তার ফলে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিও বৃদ্ধি পাবে। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকায় শরীরে অস্বস্তি আরও তীব্র হবে।

সব মিলিয়ে বলা যায়, বাংলায় আবারও সক্রিয় বর্ষা। ফলে আগামী কয়েকদিন প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছে আবহাওয়া দফতর।