কলকাতা: অবশেষে শেষ হল পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা (DA) সংক্রান্ত মামলার শুনানি। অপেক্ষা আর মাত্র তিন থেকে চার সপ্তাহের। অর্থাৎ, উৎসবের মরশুমেই কি হাতে বকেয়া মহার্ঘ ভাতা পেতে চলেছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা? সোমবার শুনানি শেষে সুপ্রিম কোর্টের সামনে দাঁড়িয়ে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষের গলায় আত্মবিশ্বাসের সুর।
তিনি বলেন, “আর ডেট নেওয়ার বিষয় নেই। রায় যখনই ঘোষণা হোক, আমরাই জিতব”। বস্তুত, এদিন শুনানি শেষ হলেও রায়দান স্থগিত রাখে বিচারপতি সঞ্জয় কারোল এবং বিচারপতি প্রশান্ত কুমার মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চ। সেইসঙ্গে কারও কোনও বক্তব্য থাকলে তা লিখিত আকারে জমা দিতে বলেছে আদালত। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ বলছে, “আর দু-তিন সপ্তাহের মধ্যে রাজ্য সরকার লিখিত হলফনামা জমা দিলে তার এক সপ্তাহের মধ্যে আমদের তরফ থেকে রিজয়েন্ডার দেওয়া হবে। তারপর রায়দান করবে সুপ্রিম কোর্ট”।
পঞ্চম বেতন কমিশনের আওতায় কলকাতা হাইকোর্টের রায়কেই বহাল রেখে বকেয়া মহার্ঘ ভাতা (DA) মেটাবে রাজ্য সরকার বলে আত্মবিশ্বাসী তাঁরা। উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ৫৫% মহার্ঘ ভাতার হারেই রাজ্য সরকারকে ডিএ দিতে হবে দাবিকে সামনে রেখে মামলা শুরু হয়। ২০২২ সালে হাইকোর্ট রাজ্য সরকারি কর্মীদের পক্ষেই রায় দেয়। কিন্তু উচ্চ আদালতের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য।
রাজ্যের তরফে বলা হয়, মহার্ঘ ভাতা বাধ্যতামূলক নয়। অন্যদিকে, মামলাকারীদের পক্ষে যুক্তি ছিল, মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়ে সরকারি কর্মচারীদের ডিএ দেওয়া সরকারের নীতির মধ্যে পড়ে। বেতন কমিশনের সুপারিশ মত নির্দিষ্ট সময় অন্তর মহার্ঘ ভাতা পাওয়ার অধিকার রয়েছে বলে দাবি করে মামলাকারী পক্ষ।
সম্প্রতি রাজ্যকে ছোঁয় সপ্তাহের মধ্যে বকেয়া ডিএ (DA)-এর ২৫% মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের কাছে আরও ৬ মাস সময় চায় রাজ্য। সোমবার শুনানি শেষে আশায় বুক বাঁধছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। সেইসঙ্গে আগামী দিনে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-এর দাবিতে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার ইঙ্গিত দিয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ।