GTA Poll: জিটিএ ভোটে নির্দলে ভরসা ‘ক্ষমতাহীন’ গুরুংয়ের, পাহাড়ি রাজনীতি নিচ্ছে নতুন বাঁক

এক দশক পার হয়ে গেছে। এই এক দশকে পার্বত্যাঞ্চলের একচ্ছত্র ক্ষমতা থেকে একপ্রকার ক্ষমতাহীন বিমল গুরুং (Bimal Gurung)। তিনি যে ক্ষমতাহীন তা স্পষ্ট হয়ে যায়…

bimal gurung

short-samachar

এক দশক পার হয়ে গেছে। এই এক দশকে পার্বত্যাঞ্চলের একচ্ছত্র ক্ষমতা থেকে একপ্রকার ক্ষমতাহীন বিমল গুরুং (Bimal Gurung)। তিনি যে ক্ষমতাহীন তা স্পষ্ট হয়ে যায় দার্জিলিং পুরবোর্ডের লড়াইতে। নতুন রাজনৈতিক দল হামরো পার্টির হাতে দার্জিলিং চলে গেছে। করুণ হাল বুঝে জিটিএ ভোট থেকে সরে গেছেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা (গোজমুমো) নেতা গুরুং। তার আগে রাজনৈতিক অনশন করেছিলেন। রাজ্য সরকার নরম হয়নি। অসুস্থ হয়ে অনশন করলেও তেমন সহানুভূতি মেলেনি। সেই গুরুং সরাসরি জিটিএ ভোটে (GTA Poll) নেই। তবে বাছাই করা নির্দলদের সমর্থন করেছেন।

   

গুরুংহীন জিটিএ ভোট বলা যাবে না। বরং তার অদৃশ্য উপস্থিতি আদৌ ভোটে প্রভাব ফেলবে কিনা সেটাই চর্চিত। দার্জিলিং ও কালিম্পং জুড়ে জিটিএ ভোটের আঁচ প্রবল। ভোটে প্রার্থী নেই গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা, বিজেপি, জিএনএলএফ, গোর্খা লিগ সহ পুরনো পাহাড়ি দলগুলির। সবাই জিটিএ নির্বাচন বয়কট করেছে।

জিটিএ ভোটের মূল লড়াই হামরো পার্টির প্রধান অজয় এডওয়ার্ড বনাম গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক পার্টির অনীত থাপার মধ্যে। এছাড়াও ভোটে আছে, রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। আছে সিপিআইএম ও কংগ্রেস।

তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর ২০১২ সালে জিটিএ ভোট হয়েছিল। মেয়াদ শেষ হয় ২০১৭ সালে। এর মাঝে বিমল গুরুংয়ের প্রবল ক্ষমতা অর্জন, তৃণমূল বিজেপির মধ্যে গুরুংয়ের পক্ষ পরিবর্তন, রক্তাক্ত রাজনীতি, গুরুংয়ের পলায়ন, ফিরে আসা আর সর্বশেষ পুরভোটে ক্ষমতা হারানো সবই হয়ে গেছে। গুরুংয়ের পক্ষ ত্যাগ করে টিএমসিতে যোগ দেন বিনয় তামাং। গোজমুমো দুভাগে ভেঙে যায়। বিভাজনের ফায়দা নিয়ে ২০১৯ সালে বিজেপি দার্জিলিং লোকসভায় জয়ী হয়।

পুরভোটে উত্থান হয় হামরো পার্টির। দ্বিতীয় স্থান পায় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা। জিটিএ ভোটের ৪৫টি আসনে এদের মূল লড়াই। এই লড়াইয়ের মাঝে একলা গুরুং। তিনি রাজনৈতিক খাদের কিনারায়। যেভাবে টানা বাম জমানায় পাহাড়ি রাজনীতির রাজা হয়েও সুবাস ঘিসিং হয়েছিলেন ব্রাত্য।  রবিবার জিটিএ ভোট।