নদিয়ার গাংনাপুরে (Gangnapur) কোনও গণধর্ষণ হয়নি বলে আদালতে রিপোর্ট জমা দিয়ে জানালেন সরকারি আইনজীবী।রিপোর্টে বলা হয়েছে, মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হয়েছে ২৪ ঘন্টার মধ্যে। মায়না তদন্তের রিপোর্ট স্পষ্ট জানানো হয়েছে বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে ওই গৃহবধূর।
উল্লেখ্য, গত ৬ই মার্চ গাংনাপুর থানার মাঝেরগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় রাত ১১টা নাগাদ বাড়িতে ঢুকে এক গৃহবধূকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এরপর ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে বনগাঁ থেকে বারাসাত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর ৭ই মার্চ থেকে ১৪ই মার্চ কল্যাণী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। এদিকে কোনও হাসপাতালের রিপোর্টে ওই মহিলা গণধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে উল্লেখ নেই।
এদিকে পরিবারের অভিযোগে ৬ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ঘটনায় সন্দেহের তির যায় শাসক দলের বিরুদ্ধে। যদিও সেইসময়ে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য দাবি করেন, ওই গৃহবধূর সঙ্গে ইসরাফিল মণ্ডলের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। ইসরাফিলের সঙ্গে অসংলগ্ন অবস্থায় পাওয়া যায় ওই মহিলাকে। ৯ মাস ধরে তাঁদের মধ্যে এই বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। মান সম্মানের কারণেই কীটনাশক খেয়েছিলেন ওই গৃহবধূ। গত ২১ এপ্রিল রানাঘাট মহকুমা আদালতের এক আইনজীবী হাই কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। তারপরেই নড়েচড়ে বসে পুলিশ।

আমাদের Google News এ ফলো করুন
২৪ ঘণ্টার বাংলা নিউজ, ব্রেকিং আপডেট আর এক্সক্লুসিভ স্টোরি সবার আগে পেতে ফলো করুন।
