বাজার থেকে উধাও রসুন, কলকাতার বাজারে কত ছুঁয়েছে জানেন

ভারতের নাসিক অঞ্চলের মানুষ ইতিমধ্যেই মূল্যবৃদ্ধির (Vegetable Price) চাপে রয়েছে। এর মধ্যে বাজার থেকে রসুন (Vegetable Price) প্রায় অদৃশ্য হয়ে যাওয়ায় রান্নার অপরিহার্য উপকরণটির জন্য…

Vegetable Price

ভারতের নাসিক অঞ্চলের মানুষ ইতিমধ্যেই মূল্যবৃদ্ধির (Vegetable Price) চাপে রয়েছে। এর মধ্যে বাজার থেকে রসুন (Vegetable Price) প্রায় অদৃশ্য হয়ে যাওয়ায় রান্নার অপরিহার্য উপকরণটির জন্য বেশি দাম (Vegetable Price) গুনতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। বাজারে রসুনের সরবরাহ কমে যাওয়ায় এর দাম (Vegetable Price) বেড়ে কেজি প্রতি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায় পৌঁছেছে।

গত কয়েক মাস ধরে নাসিকের বাজারে রসুনের (Vegetable Price) সরবরাহ ক্রমাগত কমে যাচ্ছে। এর প্রধান কারণ হলো, গত বছর রসুনের উৎপাদনে যে ঘাটতি দেখা গিয়েছিল, তা এখনও পূরণ হয়নি। তাছাড়া, এই বছর রসুনের চাষ শুরু হয়েছে অনেক দেরিতে। সাধারণত নবরাত্রির সময় রসুনের (Vegetable Price) চাষ শুরু হয়, কিন্তু এই বছর দীপাবলি পেরিয়ে যাওয়ার পরেও অনেক জায়গায় রসুনের চাষ শুরু হয়নি। ফলে, বাজারে নতুন ফসল আসতে জানুয়ারি মাস পর্যন্ত সময় লাগবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

   

নাসিকের বাজার (Vegetable Price) থেকে সংগ্রহ করা রসুনের বড় অংশ মুম্বাই এবং অন্যান্য বড় শহরে পাঠানো হচ্ছে। এর ফলে স্থানীয় বাজারে রসুনের চাহিদা পূরণ করা যাচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে ক্ষুদ্র বিক্রেতাদের কাছেও রসুনের মজুদ প্রায় ফুরিয়ে গেছে, যার প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে।

বাজার (Vegetable Price) বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, জানুয়ারি মাসে নতুন রসুন বাজারে আসার পর দাম কিছুটা কমতে পারে। তবে এর আগে পর্যন্ত রসুনের দাম (Vegetable Price) একই রকম উঁচু থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নাসিকের বাজারে শুধু রসুন নয়, অন্যান্য সবজির দামেও (Vegetable Price) কিছুটা তারতম্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে। চলুন, দেখে নেওয়া যাক বর্তমান বাজারে বিভিন্ন সবজির দাম:(Vegetable Price) 

 

আলু: ৪০-৫০ প্রতি কেজি

কাঁচালঙ্কা: ২০-৩০ প্রতি কেজি

ক্যাবেজ: ₹৩০ (প্রতি পিস)

বরবটি : ৮০-১০০ প্রতি কেজি

ফুলকপি: ৩০ (প্রতি পিস)

বেগুন: ৮০ প্রতি কেজি

ধনেপাতা: ৩০ (বড় আঁটি)

পেঁয়াজ: ৭০-৮০ প্রতি কেজি

মেথি শাক: ৪০-৫০ (বড় আঁটি)

ঢেঁড়স : ৪০ প্রতি কেজি

ঝিঙ্গে: ৪০ প্রতি কেজি

পেঁয়াজ পাতা: ৪০ (বড় আঁটি)

পালং শাক: ২০

বিভিন্ন সবজির দাম বাড়ার কারণ হিসেবে সরবরাহে ঘাটতি এবং পরিবহন খরচ বৃদ্ধিকে দায়ী করা হচ্ছে। বিশেষ করে, শীতকালে সবজির ফলন কম হলে দাম বৃদ্ধি স্বাভাবিক। এছাড়া, বড় শহরগুলিতে চাহিদা বেশি থাকায় স্থানীয় বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ রাখা সম্ভব হয় না।

রসুনের পাশাপাশি পেঁয়াজ, বেগুন, গুয়ার, এবং মেথির মতো প্রয়োজনীয় সবজির দাম বাড়ার ফলে সাধারণ মানুষ ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এমনকি, কম দামের সবজিও অনেকের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় সাধারণ মানুষকে সাশ্রয়ী কেনাকাটার পরামর্শ দিচ্ছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা।

বাজারের ব্যবসায়ীদের মতে, নতুন ফসল বাজারে না আসা পর্যন্ত এই পরিস্থিতি বজায় থাকবে। তবে জানুয়ারির মাঝামাঝি নতুন রসুন এবং অন্যান্য সবজি আসার সম্ভাবনা রয়েছে, যা দাম কমাতে সাহায্য করবে।