ঋণ পরিশোধ না করায় বন্ধুকে খুন! গ্রেফতার ১

মিলন পণ্ডা, এগরা: পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরায় ধান জমির পাশেই নয়নজ্বলি থেকে যুবকের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় নয়া মোড়! তদন্তে নেমে মৃত যুবকের বন্ধুকে গ্রেফতার করল…

ঋণ পরিশোধ না করায় বন্ধুকে খুন! গ্রেফতার ১

মিলন পণ্ডা, এগরা: পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরায় ধান জমির পাশেই নয়নজ্বলি থেকে যুবকের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় নয়া মোড়! তদন্তে নেমে মৃত যুবকের বন্ধুকে গ্রেফতার করল পুলিশ। টাকা পয়সা সংক্রান্ত বিবাদ থেকেই খুন, বলে পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে। অভিযুক্ত যুবককে হেফাজতে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এগরা থানার পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত যুবকের নাম রঞ্জিত মাইতি। বাড়ি এগরা থানার মল্লিকপুর গ্রামে। বৃহস্পতিবার অভিযুক্তকে কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হয়। বিচারক তার জামিন নাকচ করে ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত রবিবার সন্ধ্যায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা ২ ব্লকের মঞ্জুশ্রী গ্রাম পঞ্চায়েতের মল্লিকপুর গ্রামের অর্ধেন্দু পাহাড়ি নামে এক যুবক নিখোঁজ হয়ে যায়। সন্ধ্যা থেকে রাত গড়িয়ে গেলেও বাড়ি ফিরেনি অর্ধেন্দু। পরিবারের লোকেরা খোঁজাখুঁজি করলেও কোথাও সন্ধান মেলেনি তাঁর। সোমবার সকালে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে মাঠের ধান জমির পাশে নয়নজ্বলিতে অর্ধেন্দু পাহাড়ি(১৯) দেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। এরপর তারা এগরা থানার পুলিশকে খবর দেন।

   

পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে এবং পরে পরিবারে লোকেরা শনাক্ত করেন। এরপর মৃতদেহটি ময়না তদন্তের জন্য কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। অর্ধেন্দুর বাবা তরুণ পাহাড়ি এগরা থানায় তাঁর বন্ধু রঞ্জিত মাইতির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত নেমে অর্ধেন্দু পাহাড়ির বন্ধু রঞ্জিত মাইতিকে বাড়ি থেকে আটক করে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এগরা থানায় আসা হয়।

Advertisements

পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য! টাকা ধার দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিবাদের জেরে বন্ধুকে খুন করেছে রঞ্জিত, বএ জানতে পারে পুলিশ। গত কয়েক মাস আগে বন্ধু রঞ্জিত মাইতির কাছ থেকে চল্লিশ হাজার টাকা ধার নেয় অর্ধেন্দু বলে অভিযোগ। কয়েক মাস কেটে গেলেও সেই টাকা পরিশোধ করেনি। এই নিয়ে রবিবার দু’জনের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়।

মদ খাইয়ে ওই যুবককে পিটিয়ে মারধর করে নয়নজ্বলিতে ফেলে দেওয়া হয়! এগরা থানায় পুলিশ আধিকারিক জানান, “তদন্তের আগে কিছু বলা সম্ভব নয়। অভিযুক্তকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে। ঘটনা সঙ্গে আরও কেউ যুক্ত রয়েছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে”। অর্ধেন্দু পাহাড়ির পরিবারের সদস্যদের দাবি “অভিযুক্তের কঠোরতম শাস্তি চাই। এইভাবে যেন কোন বাবা-মায়ের কোল খালি না হয়”।