মালদহ নিগ্রহকাণ্ডে ক্লোজ করা হল চার পুলিশ আধিকারিককে

মালদায় দুই মহিলাকে ‘বিবস্ত্র’ করে মারধরের ঘটনায় ক্লোজ করা হল আইসি জয়দেব চক্রবর্তী, নালাগোলা পুলিশ ফাঁড়ির ওসি মৃণাল সরকার, পাকুয়াহাট পুলিশ ফাঁরির ওসি রাকেশ বিশ্বাস…

Malda1

short-samachar

মালদায় দুই মহিলাকে ‘বিবস্ত্র’ করে মারধরের ঘটনায় ক্লোজ করা হল আইসি জয়দেব চক্রবর্তী, নালাগোলা পুলিশ ফাঁড়ির ওসি মৃণাল সরকার, পাকুয়াহাট পুলিশ ফাঁরির ওসি রাকেশ বিশ্বাস এবং এএসআই সঞ্জয় সরকারকে। ঘটনার নয় দিন পর এই পুলিশ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিল জেলা পুলিশ।

   

গত শুক্রবার রাতে মালদহের বামনগোলার পাকুয়াহাটে চোর সন্দেহে দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে গণপিটুনির অভিযোগ ওঠে। ঘটনার ভিডিও নেট্মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভাইরাল ভিডিওর সত্যতা কলকাতা২৪x৭ যাচাই করেনি। ঘটিনার পর পুলিশের একাংশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। বিবস্ত্র করে গণপিটুনির পর দুই নির্জাতিতাকেই গ্রেফতার করে পুলিশ বলে অভিযোগ। কেন গ্রেফতার করা হল নির্যাতিতাদের এই নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

ঘটনার প্রেক্ষিতে গত বুধবার পাকুয়াহাট ফাঁড়ির ওসি রাকেশ বিশ্বাস-সহ বেশ কয়েক জনের বিরুদ্ধে বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন জেলা পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব। এরপর আজ চার পুলিশ আধিকারিককে ক্লোজ় করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে যে এই চার জনের কর্তব্যে গাফিলতি রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায় যে বামনগোলার সাপ্তাহিক হাটে গিয়েছিলেন দুই মহিলা। এরপর দরাদরির সময় তারা আনাজ বিক্রিতার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন বলেই অভিযোগ। এরপ্র হাটের ব্যবসায়ীরা তাদের ধরে মারধর করেন। এরপর পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে। তার মধ্যে তিন জন মহিলাও রয়েছেন। অভিযোগ যে দুই নির্যাতিতা মহিলাকেও গ্রেফতার করে পুলিশ।

গণপ্রহারের ঘটনায় অভিযুক্তরা ছাড়া ফাঁড়ির পুলিশ আধিকারিকদের বিরুদ্ধেও শাস্তির দাবি তুলেছেন দুই নির্যাতিতা মহিলা। গত মঙ্গলবার রাতে ইমেলের মাদ্যমে পুলিশের কাছে গোটা ঘটনার রিপোর্ট চেয়ে পাঠায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনও। পুলিশ এখনও পর্যন্ত কী কী পদক্ষেপ করেছে, রিপোর্টে সবই উল্লেখ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরপরেই এই পদক্ষেপ করল জেলা পুলিশ।