কেষ্টকে নিয়ে টানাপোড়েন শুরু করেছে ইডি। ফের ১১ দিনের হেফাজতে নিয়ে তাঁর ঘনিষ্ঠদের তলব করেছে তদন্তকারী সংস্থা৷ এরই মধ্যে কলকাতা পুরসভায় বীরভূমের (Birbhum) নানুরের তৃণমূল নেতা কাজল শেখের সঙ্গে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের সাক্ষাত ঘিরে জল্পনা শুরু হয়েছে৷ দু’পক্ষের মধ্যে ঘন্টাখানেকের বৈঠকের পর এবার নয়া জেলা সভাপতি নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে৷
রাজনৈতিক মহলের ধারণা, অনুব্রতর গ্রেফতারির পর শাসক শিবিরে ফাটল দেখা দিতে শুরু করেছে। ঠিক সময়ে কোর কমিটি তৈরি করে দলের দায়িত্ব না নিলে বিরোধীরা ধীরে ধীরে জায়গা করে নিত৷ সেই জায়গাটা মেরামত করা গেলেও কাজল শেখের বক্তব্যে লাগাম টানতে পারেনি শীর্ষ নেতৃত্ব৷
কেষ্টর উপস্থিতিতে যেভাবে দলের সমালোচনা করতেন৷ একইভাবে এখনও চালিয়ে যাচ্ছেন। কখনও বলছেন জেলের ভেতর থেকেই অনুব্রত মণ্ডল ফোনে যোগাযোগ করছেন। আবার কখনও বলেছেন অনুব্রতর নেতারাই দল চালাচ্ছে। কাজলের এই মন্তব্য দলের জন্য নেগেটিভ বার্তা দিলেও, বীরভূমে তা পজিটিভ বার্তা ছড়িয়েছে৷ তাই পঞ্চায়েতের আগে কোনরকম ভুল করতে চায় না শাসক দল।
অনুপস্থিতিতে যোগ্য উত্তরসূরী খুঁজতে গিয়ে দলকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এখন মনে করা হচ্ছে, কাজলকে নিয়ন্ত্রণে আনার পরেই জেলা সভাপতি নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে তৃণমূল। যদিও জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে কেউই মুখ খুলতে রাজি হননি। সভাপতি পদে নির্বাচনের বিষয়টি শীর্ষ নেতৃত্বের ওপরেই ছেড়ে দিতে চান তাঁরা। যদিও শুক্রবারের বৈঠক নিয়ে মুখ খোলেনি কোনও পক্ষই৷ আগামী দিনে বীরভূম নিয়ে কী সিদ্ধান্ত নেয় দল? সেটাই দেখার।