বাড়ছে জলস্তর, বন্ধ ফেরি সার্ভিস, বিপাকে যাত্রীরা!

যাত্রী নিরাপত্তার কারণে বন্ধ করে দেওয়া হল কাটোয়ার সমস্ত (Ferry Service Stopped) ফেরিঘাট। অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে এবং ডিভিসির জল ছাড়ার জন্য বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে…

যাত্রী নিরাপত্তার কারণে বন্ধ করে দেওয়া হল কাটোয়ার সমস্ত (Ferry Service Stopped) ফেরিঘাট। অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে এবং ডিভিসির জল ছাড়ার জন্য বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে রাজ্যের একাধিক জেলায়। জলের তলায় তলিয়ে গেছে বাঁকুড়ার সোনামুখী, হাওড়ার উদয়নারায়ণপুর, ডিহিভুরসুট, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ঘাটালের একাধিক অঞ্চল। ডুবে গেছে দোতালা বাড়ি। দোতালা বাড়ির খুঁটিতে বাধা রয়েছে নৌকা। সেই নৌকাতে করেই যাতায়াত করছে মানুষজন।

এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের সাহায্য চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই চিঠি পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীকে। চার পাতার চিঠি লিখেছেন তিনি। সেই চিঠিতেও রয়েছে ‘ম্যানমেড’ বন্যার অভিযোগ। এই আবহে কাটোয়ার সমস্ত ফেরিঘাট বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভাগিরথীতে জলস্তর বৃদ্ধি পাবার কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

   

যাত্রী নিরাপত্তার জন্য প্রশাসনের নির্দেশে কাটোয়া, দাইহাটের সমস্ত ফেরিঘাট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আবার যতক্ষণ না প্রশাসনের তরফে ফেরিঘাট খোলার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে, ততক্ষণ বন্ধ থাকবে এই সকল ফেরিঘাট। হঠাৎই এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণে বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা। অনেকেই এখনও ফেরিঘাটেই অপেক্ষারত অবস্থায় রয়েছেন। কেউ বা হন্যে হয়ে খুঁজছেন বিকল্প ব্যবস্থা।

ডিভিসি-র ছাড়া জলে দামোদর অববাহিকায় বিপুল বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। জানা গেছে ২০০৯ সালের পর আবার ২০২৪ সালে এতটা ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে এই বন্যা। জলের তলায় তলিয়ে গেছে গ্রামের পর গ্রাম। বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ডিভিসি-র সঙ্গে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করে দেবার হুমকি দিয়েছেন। এছাড়া ‘টিট ফর ট্যাট’ স্ট্রাটেজিকে পাথেয় করে বন্ধ করে দিয়েছেন ঝাড়খণ্ড-বাংলা সীমান্ত।

অন্যদিকে, বন্যা ও সেচ ব্যবস্থা নিয়ে প্রশাসনের পদক্ষেপ সম্পর্কে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেছিলেন যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছেন। তিনি নিজেই ব্যর্থ। তার সেচমন্ত্রী ও জলনিকাশী ব্যবস্থাও সম্পূর্ণ ব্যর্থ বলে অভিযোগ করেন শুভেন্দু।