নাবালিকা কন্যাকে বিয়ে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার বাবা

মিলন পণ্ডা, কাঁথি: পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি থানার পিছাবনি পূর্ব বাদলপুর গ্রামে নাবালিকা কন্যাকে বিয়ে (Child Marriage) দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল এক বাবাকে। অভিযুক্তের…

নাবালিকা কন্যাকে বিয়ে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার বাবা

মিলন পণ্ডা, কাঁথি: পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি থানার পিছাবনি পূর্ব বাদলপুর গ্রামে নাবালিকা কন্যাকে বিয়ে (Child Marriage) দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল এক বাবাকে। অভিযুক্তের নাম নিশিকান্ত ভূঁইয়া। মঙ্গলবার তাকে কাঁথি আদালতে তোলা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রতিবেশী রাজ্য উড়িষ্যার এক নাবালিকা কন্যার সঙ্গে সম্প্রতি বিয়ের (Child Marriage) আয়োজন করে তার পরিবার। গোপনে সেই বিয়ের কাজ সম্পন্ন হয়। হিন্দু রীতিনীতি মেনে বিয়ের সকল আনুষ্ঠানিকতা পালন করা হয়। তবে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করলেও শেষ রক্ষা হয়নি।

   

নাবালিকা কন্যার বিয়ের (Child Marriage) খবর স্থানীয় মহলে চাউর হওয়ার পরেই একাধিক ব্যক্তি বিষয়টি কাঁথি থানায় জানিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে দ্রুত তদন্ত শুরু করে কাঁথি থানার পুলিশ। এরপরই অভিযুক্ত বাবাকে গ্রেফতার করা হয়।

কাঁথি থানার আইসি প্রদীপ কুমার দানের প্রতিক্রিয়া:
তিনি বলেন, “নাবালিকা বিয়ে (Child Marriage) রোধে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে একাধিক সচেতনতা শিবির করা হয়েছে। স্কুল, কলেজ, গ্রামে-গ্রামে গিয়ে আমরা সচেতনতার বার্তা পৌঁছে দিচ্ছি। তারপরেও কিছু পরিবার এখনও এই বেআইনি কাজ করছে। এই ধরনের ঘটনা আটকাতে পুলিশ বিশেষ নজরদারি চালাচ্ছে।”

Advertisements

অ্যান্টি-চাইল্ড ম্যারেজ ড্রাইভে জোর:
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন ও পুলিশের পক্ষ থেকে বিগত কয়েক বছর ধরেই নাবালিকা বিয়ে (Child Marriage) রোধে সচেতনতা কর্মসূচি চলছে। প্রতিটি থানার অধীনে বিভিন্ন গ্রামে সচেতনতামূলক ক্যাম্প, স্কুল পর্যায়ে বিশেষ সেমিনার, ওয়ার্কশপের আয়োজন করা হয়েছে। তবুও, প্রশাসনের দাবি, কিছু পরিবার এখনও আইন অমান্য করে এই ধরনের বেআইনি কাজ করে চলেছে।

কেন বেড়ে চলেছে নাবালিকা বিয়ে?
সামাজিক গবেষকদের মতে, এখনও বহু পরিবার দারিদ্রতা, সামাজিক চাপ এবং কুসংস্কারের কারণে নাবালিকা বিয়ে দেওয়ার দিকে ঝুঁকছে। যদিও ১৮ বছরের নিচে মেয়েদের বিয়ে করা আইনত অপরাধ এবং এর জন্য কারাদণ্ডসহ আর্থিক জরিমানার বিধান রয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত কিনা, কিংবা বিয়েতে কারা কারা উপস্থিত ছিল, তা জানার জন্য তদন্ত চলছে। প্রয়োজনে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আরও কড়া আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।