আরজি কর আতঙ্ক যেন পিছু ছাড়ছে না তা বলাই চলে৷ তিলোত্তমার খুন ও ধর্ষণের এখনও সঠিক বিচার পাওয়া যায়নি। সুবিচারের দাবিতে টানা একমাসের বেশি পথেই দিন কাটিয়েছেন জুনিয়ার ডাক্তারেরা৷ গত শনিবার কাজে ফিরেছেন তাঁরা৷ আর এরপরেই ফের সরকারি হাসপাতালে হুমকির শিকার কর্তব্যরত নার্স। ঘটনাটি ঘটেছে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে (Chanchal Super Speciality Hospital)৷
অভিযোগ, ‘আর জি কর করে দেব’, এই হুমকি দেওয়া হয় নার্সকে। সেই সঙ্গে চাকরি খেয়ে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয় তাঁকে৷ মালদহের চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের এই ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ। ওই নার্সের নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে আটক করা হয়েছে অভিযুক্ত আরিফ আলিকে ।
গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকাজুড়ে৷ কিন্তু কেন এমন ঘটনা ঘটল? সেই বিষয় নিয়ে জানা গিয়েছে, কর্তব্যরত নার্সের অভিযোগ, শনিবার রাতে তিনি ওই সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ডিউটিতে ছিলেন৷ আর সেই সময়েই কর্তব্যে থাকাকালীন এক রোগীর আত্মীরা তার সঙ্গে খারাপ ব্য়বহার করেন । প্রতিবাদ জানাতে গেলে হুমকি দেওয়া হয়।
করা হয় বর্ণবিদ্বেষ মূলক বক্তব্য। এখানেই শেষ নয়,পাশাপাশি চাকরি খেয়ে নেওয়ারও হুমকি দেওয়া হয় কর্তব্যরত নার্সকে। জানা গিয়েছে, ওই রোগীর বাড়ি মালদার হরিশচন্দ্রপুরে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, ওই রোগীর সঙ্গে আত্মীয় ছিলেন অনেকেই। তাঁরা রোগীকে ভর্তি করার পর বার বার চিকিৎসক, নার্সদের চেয়ার নিয়ে বসার চেষ্টা করছিলেন রোগীর পরিবারের লোকজন।
সেই সময়ে পরিবারের লোকজনদের বাধা দেন ওই নার্স। এরপরই কর্তব্যরত নার্সের বিরুদ্ধে চড়াও হন রোগীর বাড়ির লোকজন৷ ঘটনার জেরে স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কিত ওই নার্স। স্বাভাবিক ভাবে তিনিও নিরাপত্তার অভাববোধ করছেন। এখন সকলের মনেই একটাই প্রশ্ন, অন ডিউটি চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা এখনও ঠিক হয়নি। যা ফের চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল বুঝিয়ে দিল৷