বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালের। বমি বিতর্কের পর এবার মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ দেওয়ার অভিযোগে সরগরম রাজ্য। দাঁতের সমস্যায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এক রোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ তোলা হয়েছে।
শান্তিপুরের এক বাসিন্দা দাঁতের ব্যথা নিয়ে গতকাল সকালে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যান। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে ২টি ওষুধ প্রেসক্রাইব করেন এবং এক্স-রে করার নির্দেশ দেন। হাসপাতাল থেকে ওষুধ নিয়ে বাড়ি ফিরে গিয়ে দেখা যায়, দেওয়া ওষুধের একটি মেয়াদ উত্তীর্ণ। ওষুধের প্যাকেটের গায়ে লেখা অনুযায়ী, সেটির মেয়াদ শেষ হয়েছে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই।
রোগী ও তাঁর পরিবার এই ঘটনায় হতবাক হয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে ওষুধের ছবি তুলে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দেন। পোস্টটি দ্রুত ভাইরাল হয় এবং জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এরপর আজ সকালে ওই ব্যক্তি হাসপাতালের সুপারের কাছে গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অভিযোগের সত্যতা যাচাই করা হবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হাসপাতাল সুপার ডা. অরিন্দম সরকার বলেন জানিয়েছেন, “অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। সিসি টিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হবে এবং ওষুধ সরবরাহ প্রক্রিয়া পুনরায় যাচাই করা হবে। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
তবে, হাসপাতালের ফার্মাসিস্টের দাবি, “আমাদের কাছে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ থাকার কোনো সম্ভাবনা নেই। আমরা নিয়মিত ওষুধের মেয়াদ পরীক্ষা করি। বিষয়টি তদন্তের আওতায় নিয়ে আসা হোক.
এই ঘটনার পর হাসপাতালের ওষুধ সরবরাহ ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে। স্থানীয় বাসিন্দারা হাসপাতালের গাফিলতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।