চরম খারাপ ফল হবে তৃণমূলের! ইঙ্গিত দলেরই যুবনেতা দেবাংশুর ‘এক্সিট পোল’-এ

সপ্তম দফার ভোট মিটতেই বিভিন্ন সমীক্ষক সংস্থা বুথ ফের সমীক্ষার (Exit Poll 24) রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। অধিকাংশ সংস্থার রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, আসন সংখ্যা এবং…

সপ্তম দফার ভোট মিটতেই বিভিন্ন সমীক্ষক সংস্থা বুথ ফের সমীক্ষার (Exit Poll 24) রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। অধিকাংশ সংস্থার রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, আসন সংখ্যা এবং ভোট শতাংশ, দুটি ক্ষেত্রেই রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে টেক্কা দেবে বিজেপি। বিজেপির আসন সংখ্যা গড়ে ২২ থেকে ৩০ এর মধ্যে দেখানো হয়েছে। অন্যদিকে তৃণমূলের আসন সংখ্যা দেখানো হয়েছে গড়ে ১৩ থেকে ২০।

যদিও বুথ ফেরত সমীক্ষাকে ‘ভুয়ো’ বলে তোপ দেগেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় একই ধরনের সুর শোনা গিয়েছে তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, দলের প্রাক্তন রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা প্রাক্তন মুখপাত্র কুণাল ঘোষ থেকে শুরু করে দলের বড়-মেজ-সেজ নেতাদের মুখে।

   

এরই মধ্যে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে দলের ফল কেমন হতে পারে, তার ইঙ্গিত দিয়েছেন তৃণমূলের আইটি এবং সোশাল মিডিয়ায় সেলের প্রধান তথা তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য। এই মতামত তাঁর একান্ত ব্যক্তিগত বলে জানিয়েও দিয়েছেন তৃণমূল যুবনেতা। দেবাংশুর দাবি, তৃণমূল পাবে ২৫ থেকে ২৭টি আসন। ভোট শতাংশ থাকবে ৪৪ থেকে ৪৬-র মধ্যে।

এক্সিট পোলে চাপ! কড়া নির্দেশ তৃণমূল সেনাপতির

তৃণমূল যুবনেতার দাবি, বিজেপি পেতে পারে ১৪ থেকে ১৬টি আসন। ভোট শতাংশ থাকবে ৪০ থেকে ৪২-এর মধ্যে। কংগ্রেসের (বাম-কংগ্রেস জোট) আসনসংখ্যা হতে পারে ০ থেকে ১টি। ভোট শতাংশ ৯ থেকে ১১-র মধ্যে। অন্যান্যরা খাতাই খুলতে পারবে না। অন্যান্য দলগুলির মধ্যে অন্যতম ইন্ডিয়ান সেকুলার ফন্ট (আইএসএফ)।

দেবাংশু ভট্টাচার্যের এক্স পোস্ট

আপাতদৃষ্টি দেবাংশুর পোস্ট দেখলে মনে হতে পারে, তৃণমূলের আসনসংখ্যা বাড়বে। দলের ফল বেশ ভালো হচ্ছে। কিন্তু ভোট শতাংশ বিশ্লেষণ করলেই অন্য চিত্র উঠে আসবে। একুশের বিধানসভা ভোটে তৃণমূল ৪৮.০২ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। অন্যদিকে বিজেপি পেয়েছিল ৩৮.১৫ শতাংশ ভোট।

কিন্তু দেবাংশুর দাবি অনুযায়ী, এবারের লোকসভা ভোটে তৃণমূল পেতে পারে ৪৪ থেকে ৪৬ শতাংশ ভোট। আর গেরুয়া শিবিরের ঝুলিতে যেতে পারে ৪০ থেকে ৪২ শতাংশ ভোট। অর্থাৎ, বোঝাই যাচ্ছে বেশ কয়েক শতাংশ কমছে তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট। আর বাড়ছে বিজেপি ভোট বা বলা ভালো জনসমর্থন।

ছাপ্পার জেরে ভোট বাতিল! রাজ্যের দুই বুথে আজ চলছে পুনর্নির্বাচন

একুশের বিধানসভা ভোটের পরই রাজ্যজুড়ে চালু হয় লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত এই প্রকল্পে প্রথমে জেনারেল ক্যাটাগরির মহিলাদের প্রতি মাসে ৫০০ টাকা এবং তফশিলি জাতি, উপজাতির মহিলাদের মাসে ১০০০ টাকা করে দেওয়া হত। কয়েকমাস আগে এই টাকা বাড়িয়ে যথাক্রমে ১০০০ এবং ১২০০ করা হয়েছে।

লোকসভা ভোটের প্রচারে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সকলেই লক্ষ্মীর ভান্ডারের গুণগান গেয়েছেন। বিজেপি এই প্রকল্প চাইলেও বন্ধ করতে পারবে না বলে দাবি করেছেন তাঁরা। একই সঙ্গে ভোটের প্রচারে বিজেপি বিরুদ্ধে একশো দিনের টাকা, আবাস যোজনার টাকা না দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন মমতা-অভিষেক।

এক ধাক্কায় অনেকটাই কমল পেট্রোল-ডিজেলের দাম, কলকাতার রেট জানুন

সোজা কথায় বললে, তৃণমূলের দাবি বাংলার প্রতি বঞ্চনা করেছে মোদী সরকার। এখন প্রশ্ন হল, লক্ষ্মীর ভান্ডারের মতো প্রকল্পে এক কোটিরও বেশি মহিলাকে মাসিক আর্থিক সাহায্য, বাংলার প্রতি বিজেপি বঞ্চনা নিয়ে লাগাতার প্রচারের পরও যদি তৃণমূলের ভোট শতাংশ একুশের বিধানসভা ভোটের তুলনায় কমে, তাহলে সেটা তো আদতে দলের ক্ষেত্রে হতাশাজনকই হবে!