Abhijit Gangopadhyay: ‘জোচ্চর’ মুখ্যমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে, প্রতিক্রিয়া অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

এসএসসি দুর্নীতি নিয়ে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছিলেন তিনি। সিবিআই তদন্তের নির্দেশও দেন তিনি। যদিও পরবর্তীতে বিচারব্যবস্থা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়ে রাজনীতির ময়দানে নেমেছেন প্রাক্তন বিচারপতি…

Abhijit-Mamata

এসএসসি দুর্নীতি নিয়ে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছিলেন তিনি। সিবিআই তদন্তের নির্দেশও দেন তিনি। যদিও পরবর্তীতে বিচারব্যবস্থা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়ে রাজনীতির ময়দানে নেমেছেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay)। আজ, সোমবার হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ ২০১৬ সালের সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে দিয়েছে। এর ফলে চাকরি হারিয়েছেন ২৫ হাজার ৭৫৩ জন। হাইকোর্টের এই নজিরবিহীন রায়ের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল সরকারকে কড়া ভাষায় নিশানা করলেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

মুখ্যমন্ত্রীকে ‘জোচ্চর’ বলে কটাক্ষ করার পাশাপাশি তাঁর পদত্যাগও দাবি করেন প্রাক্তন বিচারপতি। তাঁর কথায়, আশা করছি, নির্বাচিত সরকার আজকেই পদত্যাগ করবে। আমার ক্ষমতা থাকলে আমি কান ধরে টেনে নামাতাম। মিথ্যাচারী মুখ্যমন্ত্রী বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের ঠকিয়েছিলেন। চোর শিক্ষামন্ত্রী জেলে রয়েছে। আমার হাতেও ধরা পড়েছিলেন। আদালতেও ধরা পড়লেন। আজকের দিনে একটাই কথা বলব, ‘চোর-জোচ্চর’ মুখ্যমন্ত্রীর আর একটা দিনও ক্ষমতায় থাকা উচিত নয়। ‘জোচ্চর’, তোমাদের ফাঁসিতে ঝোলানো উচিত। আজ উচিত শিক্ষা পেয়েছ।

ডিভিশন বেঞ্চের রায় নিয়ে প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। একই সঙ্গে যোগ্যদের দ্রুত চাকরি দেওয়ার দাবি তুলেছেন তিনি। প্রাক্তন বিচারপতি বলেন, ডিভিশন বেঞ্চের রায়ে অত্যন্ত আনন্দিত। তবে আজ আনন্দপ্রকাশের দিন নয়। এই জোচ্চরদের শাসনে আমরা আর থাকতে চাই না। যোগ্য প্রার্থীদের বহুদিন ধরে বঞ্চিত করে রাখা হল। আশা করছি তাঁদের দ্রুত নিয়োগ করা হবে। যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের দ্রুত নিয়োগ করার দাবিতে আমি আজই পথে নামছি। সমস্ত ধর্মের চাকরিপ্রার্থীদের নিয়ে আমি পদযাত্রা করব।

বাংলার রাজনীতি আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল এসএসসি নিয়োগ ‘দুর্নীতি’ মামলা। এই মামলায় সর্বপ্রথম চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পরে সেই মামলা ডিভিশন বেঞ্চে যায়। ডিভিশন বেঞ্চেও সেই নির্দেশ বহাল থাকে। এর পর মামলা গিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। তবে দেশের শীর্ষ আদালত সমস্ত মামলা ফেরত পাঠায় হাইকোর্টে। মে মাসের মধ্যে হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চকে রায় ঘোষণা করতে বলা হয়। সেই মতো আজ ২৮১ পৃষ্ঠার রায় আদালতে পড়ে শোনান বিচারপতি দেবাংশু বসাক।

২০১৬ সালের গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়াকে বাতিল বলে ঘোষণা করেছেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ। বেআইনি ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। শুধু চাকরি বাতিলই নয় তাঁদেরকে সুদ সমেত ফেরত দিতে বলা হয়েছে বেতন। ১২ শতাংশ সুদের হারে বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। রায়ে বলা হয়েছে, ওএমআর শিট বা উত্তরপত্র দ্রুত এসএসসির সার্ভারে আপলোড করতে হবে। ৬ সপ্তাহের মধ্যে জেলাশাসকদের টাকা উদ্ধার করতে হবে। এই সংক্রান্ত সমস্ত দুর্নীতির তদন্ত করবে সিবিআই।