পঞ্চায়েত আগের রাতে অব্যাহত হিংসা, দিনহাটায় (Dinhata) গুলিবিদ্ধ এক। কোচবিহারে র দিনহাটায় শুটআউট, ফের চলল গুলি। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বাম কংগ্রেস সমর্থক। জানা গিয়েছে আহত ব্যাক্তি প্রার্থীর হয়ে প্রচার করে ফিরছিলেন। সেই সময় তার উপর হামলা চালানো হয়। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী দের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ উঠেছে। আহত ব্যাক্তি কে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তার এই মুহূর্তে চিকিৎসা চলছে।
তবে একালায় সকলে আতঙ্কিত। উত্তপ্ত পরিস্থিতি।
তিস্তা তীর থেকে রায়মঙ্গলের তীর পর্যন্ত পঞ্চায়েত ভোট আগেও রক্তাক্ত হয়েছে এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। গ্রাম বাংলার গরম মেজাজের ভোট। ২০২৩ এর পঞ্চায়েত ভোটে একের পর এক রাজনৈতিক খুন, বোমা হামলা, গ্রাম দখলের রাজনৈতিক সংঘর্ষে সবকটি জেলা উত্তপ্ত।রক্তাক্ত ও অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস সরাসরি নির্বাচন কমিশনকেই তুলোধনা করেছেন। তাঁর নিশানায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। কমিশনের সমালোচনা করছেন রাজ্যপালও বিতর্কে জড়িয়েছেন। কারণ, তিনিই রাজীব সিনহার নামে শিলমোহর দেন।
আলোচনায় উঠে আসছে বিধামসভায় শূন্য বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস জোটের ভোট লড়াই। এই জোট এবং আইএসএফ একসাথে ভোটে নেমেছে। ভোটের আগে শাসকদল ও বিরোধীদল ছেড়ে বাম-কংগ্রেস জোটে সামিল হওয়ার প্রবণনতা বেশি। গত পুরভোটে রাজ্যে বাম ও কংগ্রেসের জোট ভোট প্রাপ্তির হারে মূলত বিরোধী শক্তির ভূমিকায় উঠে এসেছে। তাদের পক্ষে পঞ্চায়েত ভোটে সেই উত্থান ধরে রাখা যাবে কিনা তাও চর্চিত।
পঞ্চায়েত ভোটে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের সাথে মূল লড়াই কার? রাজনৈতিক মহলে এই আলোচনা তীব্র। বিশ্লেষকরা বলছেন, গত পঞ্চায়েত ভোটের সাথে এবারের ভোটের তুলনা করলে দেখা যাচ্ছে বিধানসভায় প্রধান বিরোধী দল বিজেপি কয়েকটি পকেট এলাকা ছাড়া গোটা রাজ্যে সাংগঠনিক দূর্বলতায় ভূগছে।
পঞ্চায়েত ভোটে শাসক ও বিরোধী শিবিরের একাধিক নেতার রাজনৈতিক শক্তির পরিচয় স্পষ্ট হবে। তেমনই আছেন বিরোধীদের কয়েকজন দাপুটে নেতা। শাসক শিবির তৃণমূলের রথী মহারখীদের মধ্যে কাজল শেখ, উদয়ন গুহ, সাবিনা ইয়াসমিন, আরাবুল ইসলাম, শওকত মোল্লা, অখিল গিরি উল্লেখযোগ্য। বিরোধী পক্ষ শুভেন্দু অধিকারী (বিজেপি), দিলীপ ঘোষ (বিজেপি), নিশীথ প্রামানিক(বিজেপি), অধীর চৌধুরী (কংগ্রেস), সুশান্ত ঘোষ (সিপিআইএম), নওশাদ সিদ্দিকি (আইএসএফ), দেবলীনা হেমব্রম (সিপিআইএম) এর নাম বিশেষ উল্লেখ্য।
অন্যদিকে, ভোটের দামামা বাজার আগেই রাতেই ঝরল আরেক প্রাণ। এবার উত্তপ্ত বেলডাঙা (Beldanga)। নিহত তৃণমূল নেতা। ভোটের আগেই ঝরল আরেকটা প্রাণ। জানা গিয়েছে শুক্রবার রাত ১১ টা নাগাদ তৃণমূল কংগ্রেস সংঘর্ষ হয়। এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। রীতিমত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। ঘটনায় নিহত হয়েছেন এক তৃণমূল নেতা। আহত একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কাপসডাবগা তে নামানো হয়েছে RAF। সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী পরিস্থিতি এখন ও নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। ভোটের বলে গত ৩০ দিনে দাড়ালো ১৯। আজ সকালেই খুন হন মুর্শিদাবাদের রাণীনগরে কংগ্রেস কর্মী। অভিযোগের তীর শাসক দলের বিরুদ্ধে। যদিও শাসক দল সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।