রাজ্যে বাড়ছে হাতির (elephant) সংখ্যা (population), তবে গ্রামে হামলা ও মৃত্যুর ঘটনা কমেছে—এমনই দাবি করেছেন রাজ্যের বনমন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা। তিনি জানিয়েছেন, গত এক বছরে বাংলায় (Bengal) হাতির সংখ্যা প্রায় দেড়শো বেড়ে (rises) ৮০০ হয়েছে। বুধবার বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে এই পরিসংখ্যান তুলে ধরে মন্ত্রী (minister) বলেন, যদিও হাতির সংখ্যা বেড়েছে, তবে তাদের আক্রমণে মৃত্যু ও গ্রামে (village) হামলার ঘটনা অনেকটাই কমেছে।
বিরবাহা হাঁসদা জানান, ২০২০ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে হাতির সংখ্যা ছিল ২৫০-২৮০টি, তবে এখন তা বেড়ে ৮০০ হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য যে, বনকর্মীরা ২৪ ঘণ্টা নজরদারি চালিয়ে আছেন, যার ফলে হাতির আক্রমণে মৃত্যুর সংখ্যা কমে গেছে। মন্ত্রী আরও জানান, গত বছর যেখানে ১০৩ জন হাতির হামলায় মারা গিয়েছিলেন, সেখানে এবছর নভেম্বর পর্যন্ত সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে মাত্র ৫৩।
বিরবাহা আরও বলেন, “বনকর্মীরা সারা বছরই ডিউটিতে থাকেন, এবং তাঁরা প্রতিটি ঘটনায় দ্রুত হস্তক্ষেপ করছেন। তাঁরা জঙ্গলে হাতির চলাচল সম্পর্কেও খোঁজখবর রাখছেন, যাতে গ্রামের মানুষ হাতির কাছাকাছি যেতে না পারে।” মন্ত্রী জানান, এমন নজরদারি ও সচেতনতায় গ্রামে হাতির আক্রমণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে।
এছাড়া, বনমন্ত্রী গন্ডারের সংখ্যাও বাড়ানোর কথা জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, বনদপ্তর শুধু হাতি নয়, গন্ডারের সংখ্যা বাড়ানোর জন্যও কাজ করছে। তবে হাতির সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে তারা জঙ্গল লাগোয়া গ্রামে ঢুকে পড়ছে, এটা একটি বাস্তবতা। বিরবাহা বলেন, “আমরা মানুষকে সচেতন করছি যে, যদি কোনো হাতি জঙ্গলের বাইরে বেরিয়ে আসে, তবে তারা যেন বনকর্মীদের জানায়, এবং সেই সময়ে যেন কেউ হাতিকে উত্ত্যক্ত না করে।”
হাতির হামলায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে জলপাইগুড়িতে, যেখানে গত বছর ২৮ জন মারা গিয়েছিলেন, কিন্তু এবছর তা কমে ১৩ জন হয়েছে। আলিপুরদুয়ারে গত বছর ২৪ জন মারা গিয়েছিলেন, এবার তা কমে ১৮ জন হয়েছে।
রাজ্যের বনমন্ত্রী আরও জানান, বনকর্মীরা নিয়মিত প্রচার চালাচ্ছেন, যাতে হাতির সঙ্গে মানুষের কোনো সংঘর্ষ না হয়। তাঁদের কাজের ফলে, হাতে নেওয়া পদক্ষেপের ফলে এ বছর হাতির আক্রমণে মৃত্যু অনেকটাই কমেছে, এবং মানুষের সচেতনতা বাড়ানো সম্ভব হয়েছে। এভাবেই, হাতির সংখ্যা বাড়লেও রাজ্যে তার সঙ্গে সম্পর্কিত হামলা ও মৃত্যুর ঘটনা কমানোর উদ্যোগ যথেষ্ট সফল বলেই মনে হচ্ছে।