টিএমসির অন্দরে প্রবল সংঘাত মেটাতে মরিয়া মমতা। বিকেলে জরুরি বৈঠক করবেন। তার মাঝে চলছে ভোট। রাজ্যের তথা দেশের অন্যতম প্রাচীন শহর হুগলি জেলার চন্দননগর। এখানকার পুরনিগম ঘিরে সরগরম পরিস্থিতি।
চন্দননগরে মোট ৩৩টি ওয়ার্ডেে টিএমসির অ্যাসিড টেস্ট আজ। মোট ৩২ টি পুরসভায় ভোট হচ্ছে। ৩৩তম ওয়ার্ড অর্থাত ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী গোকুল পাল মারা গিয়েছেন। ফলে আজ সেখানে ভোট হচ্ছে না। ভোটের কারণে শনিবার সকাল থেকেই নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে চন্দননগর। দলীয় অন্তর্কলহকে সরিয়ে রেখে হুগলির এই পুরনিগমে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে এলাকার তৃণমূল সমর্থকরা।
প্রতিটি বুথেই থাকছে সশস্ত্র পুলিশ। থাকছে না কোনও সিভিক ভলান্টিয়ারদের। স্পর্শকাতর অঞ্চলগুলিতে বসেছে সিসিটিভি ক্যামেরা। হাই অ্যালার্টে রাখা হয়েছে পুলিশের কয়েকটি টিমকে। সেগুলির দায়িত্বে রয়েছেন পদস্থ পুলিশকর্তারা।
চন্দননগরে প্রতিটি ঢোকা ও বেরোনোর রাস্তাগুলিতে চলছে ‘নাকা চেকিং’। শুক্রবার রাত থেকেই তা শুরু হয়েছে। গঙ্গায় লঞ্চে রয়েছে পুলিশ। নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন ৯ জন ইনস্পেক্টর, এএসই এবং এসআই মিলিয়ে ১১৪ জন। এছাড়া রয়েছেন ৫৪৬ জন কনস্টেবল ও হোমগার্ড।
এদিকে প্রার্থী তালিকা নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে দানা বাঁছধে সংকট। অনেকেই মনে করছেন তার আঁচ পড়তে পারে পুরোভোটে। হয়তো বাদ যাবে না চন্দননগরও। এখনও পর্যন্ত শাসকদলের বহু নেতা টিকিট না পেয়ে নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে হুগলি জেলার ১২ টি পুরসভা। ফলে তৃণমূলের কাছে এটি অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ এর প্রভাব পড়তে পারে ভোট ব্যাঙ্কে। ওই নেতাদের নিজেদের ভোট আসবে না তৃণমূলের খাতে। হুগলির আরামবাগ পুরসভার ৪ টি ওয়ার্ডে নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতারা। উত্তরপাড়ায় ১৩ জন বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতা নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছেন। দলীয় কর্মীদের অভিযোগ, দুর্নীতিগ্রস্তদেরই টিকিট দিয়েছে দল। তাই সরে এসেছেন তাঁরা। হুগলির চাঁপদানি পুরসভাতেও অনেক বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতা নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছেন।


