নেতাই গণহত্যা মামলায় CPIM নেত্রী ফুল্লরার নি:শর্ত জামিন, সুশান্ত এফেক্টে উল্লাস

জঙ্গলমহলের (Jangalmahal) জেলাগুলিতে প্রবল গুঞ্জন সুশান্ত ঘোষ এফেক্ট! পশ্চিম মেদিনীপুরে সিপিআইএমের (CPIM) গরম মেজাজ ফিরছে বলে মানছে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি। দলীয় জেলা সম্পাদক ও…

জঙ্গলমহলের (Jangalmahal) জেলাগুলিতে প্রবল গুঞ্জন সুশান্ত ঘোষ এফেক্ট! পশ্চিম মেদিনীপুরে সিপিআইএমের (CPIM) গরম মেজাজ ফিরছে বলে মানছে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি। দলীয় জেলা সম্পাদক ও প্রাক্তন মন্ত্রী সুশান্ত ঘোষকে ঘিরে এমন চর্চার মাঝে বিতর্কিত নেতাই গণহত্যা (Netai Masskilling) মামনায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে নি:শর্ত জামিন পেয়ে  মেদিনীপুর সংশোধনাগারের বাইরে এলেন বাম নেত্রী (Fullara Mondal) ফুল্লরা মণ্ডল। নেতাই কাণ্ডে তাকে গুলি চালাতে দেখার অভিযোগ তোলা হয়েছিল তৃ়ণমূল কংগ্রেসের তরফে। সেই অভিযোগ টেকেনি।

শুক্রবার ফুল্লরা মণ্ডলের জামিন কার্যকরী হয়। তিনি জেলের বাইরে আসেন। তাকে সিপিআইএম নেতা ও মহিলা সমিতির নেত্রীরা বরণ করে নেন। সেখানেই তাঁকে স্বাগত জানান সিপিআইএম পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক সুশান্ত ঘোষ।

২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি পশ্চিম মেদিনীপুরের লালগড় ব্লকের নেতাই গ্রাম ছিল রক্তাক্ত। এই গ্রামে গুলিবিদ্ধ হয়ে ৯ জনের মৃত্যু হয়। তখন বামফ্রন্ট সরকার। অভিযোগ, স্থানীয় সিপিআইএম নেতা রথীন দণ্ডপাটের বাড়ি থেকে গুলি চলেছিল। তৎকালীন মন্ত্রী সুশান্ত ঘোষের নাম  জড়িয়েছিল। কলকাতা হাইকোর্ট ২০১৩ সালে নেতাই গণহত্যার তদন্তভার সিবিআইকে দেয়। ২০১৪ সালে সিবিআই ২০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেয়৷ অভিযুক্তদের অন্যতম ফুল্লরা মণ্ডল।

অভিযোগ, বাম জমানার পতনের পর ২০১৪ সাল থেকে বিনা বিচারে ফুল্লরাকে আটক করে রেখেছিল সরকার।

বামফ্রন্ট সরকার পরিবর্তনের বছরেও জয়ী হলেও সুশান্ত ঘোষ দীর্ঘ কয়েক বছর জেলায় ঢুকতে পারেননি। পরে তিনি আইনি জটিলতা কাটিয়ে গত বিধানসভা ভোটের আগে সাড়া জাগিয়ে জেলায় ফেরেন। কিন্তু তিনি জিততে পারেননি। তবে সুশান্ত ফিরতেই জঙ্গলমহলের পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ার একাংশে বাম চাঙ্গা তা প্রতিপক্ষ শিবির মেনে নিচ্ছে।