নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআইয়ের দায়ের করা মামলায় মে মাসে জামিন (Jiban Krishna Saha) পান। তবে তার কয়েক মাস কাটতে না কাটতেই ফের বিপত্তি! বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে এবার তলব করল ইডি। আগামী কাল, সোমবার সকাল ১১টা নাগাদ সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিয়ে বলা হয়েছে জীবনকৃষ্ণকে।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই। বাড়িতে তল্লাশির সময় জীবন পাঁচিল টপকে পালানোর চেষ্টা করেন। মোবাইল পুকুরে ফেলে দিয়েছিলেন তিনি। পুকুরের পাঁক ঘেঁটে উদ্ধার হওয়া মোবাইল থেকে বিভিন্ন তথ্য পায় ফরেন্সিক দল। উঠে আসে একের পর এক বিস্ফোরক চ্যাট।
সাড়ে ৬৫ ঘণ্টা তল্লাশি অভিযানের পর ২০২৩ সালে ১৭ এপ্রিল তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে গ্রেফতার করে সিবিআই। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে তদন্তে অসহযোগিতা ও তথ্য প্রমাণ লোপাট করার চেষ্টার অভিযোগে প্রাথমিকভাবে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তৃণমূল বিধায়কের বাড়ি থেকে প্রায় ৩,৪০০ প্রার্থীর তথ্য উদ্ধার হয়।
Gold Silver Price: ছুটির দিনে কি কমল সোনার দাম? জানুন কলকাতার রেট
চলতি বছর ১৪ মে সুপ্রিম কোর্টে জামিন পান বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক। সেই জামিন পাওয়ার পর দু’মাস কাটতে না কাটতেই ফের বিপত্তি। এবার ইডি তলব করল জীবনকে। যদিও তৃণমূলের বিধায়কের তলবের খবরটি জানাজানি হতেই কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে জোড়াফুল শিবির। কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে একহাত নিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার।
জয়প্রকাশ বলেন, ইডি এতদিন ধরে করলটা কী। এটা পুরোপুরি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত বিষয়। সুপ্রিম কোর্টের জামিন হজম হয়নি ইডির। তাই প্রতিহিংসা থেকেই এই কাজ করছে ওরা। মোদী আর বিজেপির নির্দেশে কাজ করছে ইডি, সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলি। এই ঘটনার ঘোরতর নিন্দা করছি।
জয়প্রকাশের পাল্টা বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য বলেন, জামিন পাওয়া মানেই মামলা শেষ হয়ে যায়নি। জামিন দিলেও তদন্তের প্রয়োজনে ইডি তাঁকে তলব করতে পারবে না, এমন কোনও নির্দেশ দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। আর এখন তো তৃণমূলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হচ্ছে তৃণমূলেরই একাংশ।
‘সরকার গদি ছাড়’ দাবিতে অশান্ত বাংলাদেশ, জরুরি নিরাপত্তা বৈঠকে শেখ হাসিনা
একই সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার দীর্ঘসূত্রতা নিয়ে সরব হন শমীক ভট্টাচার্য। বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ বলেন, কয়লা যতই ধোও না কেন কালো ব্যাপারটা সড়ে যায় না। তৃণমূল নেতাদের ব্যাপারটা খানিকটা সেরকমই। মানুষের আদালতের ওপর ভরসা আছে, মামলা নিয়ে দীর্ঘসূত্রতা ঠিক নয়। এই দুর্নীতির কারা অনুপ্রেরণা, কাদের মদতে এত বড় চক্র, তা সামনে আনা উচিত।