বাগুইআটি জোড়া খুন, বিজেপিকে ঢুকতে বাধা তবে সেলিম-সুজনের সঙ্গে কথা

বাগুইআটির জোড়া খুনের (Baguiati Double Murder)  ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ৷ বারবার পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে সরব বিরোধী পক্ষ৷ বুধবার সকাল থেকেই বাগুইআটি থানার…

বাগুইআটির জোড়া খুনের (Baguiati Double Murder)  ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ৷ বারবার পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে সরব বিরোধী পক্ষ৷ বুধবার সকাল থেকেই বাগুইআটি থানার সামনে বিক্ষোভ দেখায় BJP ও CPIM সমর্থকরা। এর আগে উত্তেজিত এলাকাবাসীর ক্ষোভের মুখে পড়ে তড়িঘড়ি এলাকা ছেড়েছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar), কিন্তু সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের (Md Salim) সঙ্গে কথা বললেন মৃতের পরিবার।

বুধবার মৃত দুই ছাত্রের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন বাম নেতৃত্ব৷ ছিলেন সিপিআইএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী। সঙ্গে ছিলেন বাম যুব নেতা সপ্তর্ষি দেব, পলাশ দাশ, সৃজন ভট্টাচার্য, উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সিপিআইএম সম্পাদক মৃণাল চক্রবর্তী।

   

মৃত অভিষেকের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে তাঁর বাবার সঙ্গে কথা বলেন বাম নেতারা। ঠিক সেই সময়ই ভিতরে প্রবেশ করেন কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা। তারা ফিরে যেতে বলেন সুজন-সেলিমদের। তবে সিপিআইএম নেতাদের সঙ্গে মৃতের পরিবারের সদস্যরা কথা বলেন।

সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক মহ. সেনিম বলেন, আমাদের রাজ্যে যখনই কোনও অপরাধ হয়, যারা অপরাধের পক্ষের লোক তারা কখনই চায় না এটা বাইরে যাক৷ যেমন পুলিশ বলেছে কাউকে জানাবেন না বাইরে। মিডিয়াকে বলবেন না৷ আমরা খোঁজ করছি৷ আবার আজকে যখন ঘটনা ঘটে গেছে দুটো লাশ পাওয়া গেছে, তখন দাঁড়িয়ে কেউ চায় এটা আপোশে করে নাও৷ এটা একটা অপরাধা প্রবণতা৷ এই প্রবণতা বাড়ছে বলে স্কুলের ছাত্র খুন হয়েছে৷ পুলিশের অপদার্থতা আছে

মঙ্গলবার মৃত দুই ছাত্রের আত্নীয়দের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে এলাকার একাংশের বিক্ষোভের মুখে পড়েন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁকে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এরপর স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে সরব হন সুকান্ত।

মৃত দুই ছাত্রের আত্নীয়দের সঙ্গে দেখা করেছেন মন্ত্রী সুজিত বসু সহ তৃণমুল কংগ্রেস নেতৃত্ব৷

সন্ধ্যেবেলায় বাম নেতারা উপস্থিত হন। সৃজন ভট্টাচার্যের বক্তব্য, কিছু মিডিয়া বলছে, সেলিমদা বা সুজনদাকে ফিরিয়ে দিয়েছে অভিষেকের পরিবার। তবে অভিষেক নস্করের পরিবার না। তাদের সাথে দীর্ঘ সময় কথা বলেছেন মহঃ সেলিম, সুজন চক্রবর্তী, পলাশ দাস, শতরূপ ঘোষরা। ছিলাম আমরাও। বেরোনোর সময়ে অভিষেক ব্যানার্জির সাঙ্গপাঙ্গরা অল্প গোলমাল শুরু করে। কিচ্ছু যায় আসেনি। পরিবারের সাথে কথা বলে জল খেয়ে বেরিয়ে বাইরে সভা করেন আমাদের নেতারা। তারপর বেরনোর সময়ে অতনু দে’র পরিবারের ডাকে তাদের সাথে ফের গিয়ে দেখা করি সেলিমদা সহ আমরা। এখানে সংকীর্ণতার কোনও প্রশ্ন নেই, খুনিদের শাস্তি চাই।