ED Raid: আধাসেনা নিয়ে ইডি অফিসারদের আচমকা অভিযান, টার্গেট তৃণমূল সাংসদ নুসরাত?

সল্টলেক সিজিও কমপ্লেক্স থেকে পরপর বেরিয়ে গেল গাড়িগুলো। নিরাপত্তার বলয় আছে। কোন দিকে গেল ইডি (ED Raid)? নিশানায় তৃণমূল সাংসদ (Nusrat Jahan) নুশরাত? উঠছে প্রশ্ন।…

সল্টলেক সিজিও কমপ্লেক্স থেকে পরপর বেরিয়ে গেল গাড়িগুলো। নিরাপত্তার বলয় আছে। কোন দিকে গেল ইডি (ED Raid)? নিশানায় তৃণমূল সাংসদ (Nusrat Jahan) নুশরাত? উঠছে প্রশ্ন। কোটি কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ অভিনেত্রী সাংসদ নুসরাতের বিরুদ্ধে।

ফ্ল্যাট দেওয়ার নামে কোটি কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে নুসরাতের বিরুদ্ধে। তৃণমূল সংসদের বিরুদ্ধে কুড়ি কোটি টাকার বেশি প্রতারণার অভিযোগ। অভিযোগকারীদের নিয়ে ইডির কাছে নালিশ বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পন্ডার। ৪২৯ জনের কাছ থেকে পাঁচ লক্ষ পঞ্চান্ন হাজার টাকা করে নেওয়ার অভিযোগ।অভিযোগকারীরা ফ্ল্যাট কেনার জন্য সেভেন সেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেডে টাকা দিয়েছিল। কিন্তু অভিযোগ সেই টাকা দিয়েই ফ্ল্যাট কিনেছেন কোম্পানির ডিরেক্টররা। অভিযোগ ওই সংস্থার অন্যতম ডিরেক্টর ছিলেন বসিরহাটের সাংসদ। নুসরাতের নামে অভিযোগে ইডির কাছে তদন্তের দাবি।

অভিযোগকারী সুশান্ত কুমার হাজরা জানিয়েছেন, আমরা টাকা ইনভেস্ট করেছিলাম ফ্ল্যাট পাবো কিন্তু সেটা পাইনি। অফিসের ডিরেক্টরের সঙ্গে আমাদের কিছু সিনিয়র লিডারদের কথা হয়। ২০১৪ সালে আমাদের ৫ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা করে দিতে বলা হয়। রাজারহাটে ইকোপার্কের উল্টোর দিকে ল্যান্ড কেনার কথা ছিল। তারপর তারা কোম্পানির ডিরেক্টরের নামে ফ্ল্যাট কিনলো।

তিনি নুসরাতের দিকে আঙ্গুল তুলে বলেন, তার মধ্যে রয়েছে এমপি নুসরাত জাহান। রাকেশ সিং, সঙ্গে ওনার স্ত্রী, এছাড়াও বিনয় সেন ও আরো কয়েকজন। মূলত আমাদের টাকা দিয়ে ওনারা ফ্ল্যাট কিনেছেন। আমরা ক্রিমিনাল কেস ফাইল করেছি। সেই ক্রিমিনাল কোর্টের বিচারপতি থানাতে রেফার করেছিলেন”।

এই বিষয়ে শঙ্কুদেব পন্ডা জানিয়েছেন, ” এখানে ফিনান্সিয়ালস স্ক্যাম হয়েছে। কারোর ৭০ বছর কারো ৮০ বছর বয়স এমন সিনিয়র সিটিজেনদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। তাদের মধ্যে অনেকে মারাও গিয়েছে। এরা কেউ নিজেদের স্ত্রীর গয়না বেঁচে সঞ্চয় শেষ করে লোন নিয়ে টাকাটা দিয়েছিলেন। এবং তারপরে রাজ্য সরকারের অ্যাডমিনিস্ট্রেশন তাদের চমকাচ্ছে এনারা যেন কেসটা না করে।

তিনি রাজ্য সরকারকে নিশানা করে বলেন, নুসরাত জাহানকে কেনও এত বড় ফিন্যান্সিয়ালস স্ক্যামের জন্য কল করা হবে না? কেন ইডি এই বিষয়ে তদন্ত করে খতিয়ে দেখবে না? আমি জানতে চাই যারা জিরো টলারেন্স পার্টি তারা কেন তাদের এমপিকে জিজ্ঞাসা করতে চাইছেন না।

অন্যদিকে নুসরাত জাহান এখনই কোনও মন্তব্য করতে নারাজ। যেহেতু ইডির তরফ থেকে গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে তাই তদন্তের পরেই তিনি কিছু বলবেন তার আগে মুখ খুলবেন না।