Cow Smuggling: ‘ডিরেক্টর’ সুকন্যার বিপুল আয়ে গোরু পাচারের গন্ধ লেগে আছে

গরু পাচার (Cow Smuggling) মামলায় বুধবার অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকে (Sukanya Mondal) গ্রেফতার করেছে ইডি (Enforcement Directorate)। অনুব্রত সম্পর্কিত একাধিক তথ্য আগে থেকেই ছিল ইডির নজরে।

Sukanya Mandal, daughter of Anubrata Mandal, in a distressed state

গরু পাচার (Cow Smuggling) মামলায় বুধবার অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকে (Sukanya Mondal) গ্রেফতার করেছে ইডি (Enforcement Directorate)। অনুব্রত সম্পর্কিত একাধিক তথ্য আগে থেকেই ছিল ইডির নজরে। কিন্তু তাঁর সম্পত্তি দেখে চোখ কপালে উঠেছে তদন্তকারী সংস্থার৷ সামান্য স্কুল শিক্ষক হয়ে কীভাবে বিপুল সম্পত্তির মালিক হয়েছিল সুকন্যা? প্রশ্ন তদন্তকারী সংস্থার৷

ইডি সূত্রে খবর, দুটি কোম্পানির ডিরেক্টর পদে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল। একটি সংস্থা, নীর ডেভলপার এবং অন্য একটি সংস্থা এএনএম অ্যাগ্রোকেম। এই এএনএম অ্যাগ্রোকেমের অধীনে রয়েছে ভোলে ব্যোম রাইস মিল। এর পাশাপাশি বোলপুরের মকরমপুরে দুটি প্লট রয়েছে সুকন্যার নামে। বল্লভপুরেও রয়েছে চারটি প্লট। কালিকাপুর ও গয়েশপুর মিলিয়ে সুকন্যার নামে ২৮টি জমির নথির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। নিউটাউনেও দুটি ফ্ল্যাট রয়েছে সুকন্যার নামে।

   

অনুব্রত সম্পর্কে দেওয়া চার্জশিটে সুকন্যার সম্পত্তির কথাও উল্লেখ রয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষিকা সুকন্যার ২০১২-১৩ আর্থিক বছরে বার্ষিক আয় ছিল ৩ লক্ষ ১০ হাজার টাকা। পরের বছর তা বেড়ে হয়েছিল সাড়ে ৮ লক্ষ টাকা। তার পরের বছর ১০ লক্ষ টাকার কিছু বেশি।

এর পর থেকেই বাড়তে থাকে সম্পত্তির পরিমাণ৷ ২০১৫-১৬ আর্থিক বছরে বার্ষিক আয় বেড়ে হয় ৪৯ লক্ষ ৩২ হাজার টাকা। তার পরের বছর আয় আরও ২ লক্ষ টাকা বাড়ে। ২০১৮-১৯ সালে ফের লং জাম্প। ওই বছর আয়কর রিটার্নে সুকন্যা তাঁর আয় দেখিয়েছিলেন ১ কোটি ২৯ লক্ষ টাকা। ১৯-২০ সালে তাঁর আয় ছিল প্রায় ১ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা। আর ২০-২১-এ তাঁর আয় হয়েছে ৯২ লক্ষ ৯৭ হাজার টাকা। তবে এই হিসেবের সবই ছিল তাঁর ব্যক্তিগত আয়। এই বিপুল সম্পত্তি ও আয়ের হিসেব দেখেই সন্দেহ তদন্তকারী সংস্থার।