আফ্রিকা বেশি দূর নয়…ডানলপ টু ঘানা ছুটল বাংলার ই-রিক্সা

বাংলার জন্য সুখবরের বার্তা। এবার বাংলার ই-রিক্সা (e-rickshaw) পারি দিচ্ছে আফ্রিকায়। বাংলার এই ই-রিক্সা তৈরি হয়েছে হুগলির সুগন্ধায়। বাংলার ই-রিক্সা চলবে আফ্রিকার ঘানায়। সোমবার খিদিরপুর…

বাংলার জন্য সুখবরের বার্তা। এবার বাংলার ই-রিক্সা (e-rickshaw) পারি দিচ্ছে আফ্রিকায়। বাংলার এই ই-রিক্সা তৈরি হয়েছে হুগলির সুগন্ধায়। বাংলার ই-রিক্সা চলবে আফ্রিকার ঘানায়। সোমবার খিদিরপুর ডক থেকে আফ্রিকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে হুগলি মোটরস-এর তৈরি ই-রিক্সা। কন্টেইনারে ভরে খিদিরপুর ডক থেকে রওনা দিয়েছে এই বিশেষ রিক্সা। সংস্থার কর্ণধাররা মনে করছেন যে এই রফতানির সাফল্য কর্মীদের উৎসাহিত করবে।

বাংলার ক্ষুদ্র শিল্পের তালিকায় পড়ে হুগলি মোটরস। পোলবার সুগন্ধায় দিল্লি রোডের ধারে কারখানায় শ’দুয়েক লোক কাজ করেন। এই কারখানায় তৈরি হয় ই-রিক্সা। এগুলি ঘানায় রফতানি করা হচ্ছে। হুগলি মোটরসের তৈরি ই-রিক্সা বিদেশে পাড়ি দেওয়ায় রাজ্যে খুশির হাওয়া। উচ্ছ্বসিত বাংলার ক্ষুদ্র শিল্প মহলও।

এক সংবাদমাধ্যমকে সংস্থার কর্নধার শেখ নাসিরুদ্দিন বলেছেন, ‘বর্তমান সময়ে ব্যাটারি চালিত পরিবেশ বান্ধব গাড়ির চাহিদা প্রচুর। তেলের দাম বাড়ায় ই গাড়ির চাহিদা বেড়েছে। বিদেশেও এই গাড়ির বাজার তৈরি হয়েছে। মাস দুয়েক আগে ঘানার মাদিনার সংস্থা গোল্ডেন ওয়েবের প্রতিনিধিরা হুগলির কারখানা দেখতে এসেছিলেন। কারখানা দেখে সন্তোষ প্রকাশ করার পাশাপাশি তাঁরা ব্যবসায়িক চুক্তি করেন। তাঁরা চিন থেকে আগে ই-রিকশ নিতেন। কিন্তু তার গুণগত মান খারাপ হওয়ার কারণে ভারত থেকে ই-রিক্সা ঘানায় আমদানি করতে চায় তারা। সেই মতো এক কনটেনার ভর্তি ই-রিক্সা ও ই-কার্ড পাঠানো হচ্ছে। এর আগে নেপালেও আমরা গাড়ি রফতানি করেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘ভারত বর্ষের প্রায় সব রাজ্যে আমাদের কারখানায় তৈরি হওয়া গাড়ি চলছে। আগামী দিনে অন্যান্য দেশে ই-রিক্সা বিক্রি করতে পারলে একদিকে যেমন বিদেশি মুদ্রা আসবে, তেমনই কর্মসংস্থান তৈরি হবে। সরকারের তরফে ক্ষুদ্র শিল্পগুলিকে যদি আরও বেশি করে সাহায্য করা যায় এবং জমি ও ঋণের বন্দোবস্ত করা যায়, তাহলে সুবিধা হয়।’