আন্তর্জাতিক শিল্পমেলায় বাংলার মণ্ডপের থিমেও এবার ‘দুয়ারে সরকার’

News Desk: রাজধানী দিল্লির আন্তর্জাতিক শিল্পমেলায় (international trade fair) দুয়ারে সরকারের উন্নয়নমুখী থিমেই সেজেছে বাংলার মণ্ডপ। রাজ্যের সমস্ত জনপ্রিয় ও উন্নয়নমূলক সরকারি প্রকল্পকে দর্শকদের সামনে…

Bengal Mandapa at the International Art Fair

News Desk: রাজধানী দিল্লির আন্তর্জাতিক শিল্পমেলায় (international trade fair) দুয়ারে সরকারের উন্নয়নমুখী থিমেই সেজেছে বাংলার মণ্ডপ। রাজ্যের সমস্ত জনপ্রিয় ও উন্নয়নমূলক সরকারি প্রকল্পকে দর্শকদের সামনে তুলে ধরতেই এই উদ্যোগ।

শুধু দুয়ারে সরকারই নয়, বাংলার সৌজন্যে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্প উঠে এসেছে মণ্ডপসজ্জায়। রূপশ্রী, (rupashree) কন্যাশ্রী, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, স্বাস্থ্যসাথী (swasthasathi), লক্ষীর ভান্ডার-সহ বাংলার বিভিন্ন জনপ্রিয় প্রকল্পকের ভাবনাকে সামনে রেখে এবারের আন্তর্জাতিক শিল্পমেলায় নিজেদের প্যাভিলিয়ন সাজিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। রবিবার সন্ধ্যায় দিল্লির প্রগতি ময়দানে আন্তর্জাতিক শিল্পমেলায় আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ প্যাভিলিয়নের। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রিন্সিপাল রেসিডেন্ট কমিশনার কৃষ্ণ গুপ্তা (krishna gupta) এবং জনসংযোগ বিভাগের প্রিন্সিপাল অ্যাডভাইসার আর ডি মীনা।

করোনা মহামারীতে গত বছর বন্ধ থাকার পর এবার ফের চালু হয়েছে এই আন্তর্জাতিক শিল্পমেলা। উদ্যোক্তাদের থিমের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্যাভিলিয়নের মূল লক্ষ্য হল উন্নয়নের ক্ষেত্রে রাজ্যের স্বয়ংসম্পূর্ণতাকে তুলে ধরা। বিভিন্ন রেপ্লিকার মাধ্যমে রাজ্যের উন্নয়নের বিভিন্ন ক্ষেত্রকে চিত্রিত করে তুলে ধরা হয়েছে। পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের হস্তশিল্প বৈচিত্র্যের বিপুল সম্ভারও উঠে এসেছে এই প্রদর্শনীতে।

Bengal Mandapa at the International Art Fair

বাংলার সংস্কৃতির নিদর্শন হিসেবে দক্ষিণেশ্বর কালীমন্দির, হাওড়া (howrah bridge) সেতু এবং ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের আদলে তিনটি প্রবেশদ্বার তৈরি করা হয়েছে। প্যাভিলিয়নের ঠিক মাঝখানে রাখা নিউটাউনের বিশ্ববাংলা গেটের আদলে তৈরি শিল্পকর্ম। গ্রামীণ ও শহুরে জীবনযাত্রার উন্নতি সাধন ও মেলবন্ধনে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের কথাও তুলে ধরা হয়েছে। গ্রামীণ কারুশিল্পে রাজ্যের ঐতিহ্যকে হস্তশিল্প এবং তাঁত পণ্যের মাধ্যমে এই আন্তর্জাতিক শিল্প মেলায় তুলে ধরা হয়েছে। রয়েছে মঞ্জুষা, তন্তুজ, বঙ্গশ্রী, পশ্চিমবঙ্গ খাদি (khadi) ও গ্রামীণ শিল্প বোর্ড, রাজ্য রেশম শিল্পী সমবায় মহাসংঘ এবং বেশ কয়েকটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সম্ভারও।

শিল্পমেলার প্রথম দু’দিন বাংলার প্যাভিলিয়নে ছিল উৎসাহী মানুষের ভিড়। মমতা সরকারের বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্প নিয়ে দর্শকদের খোঁজ নিতে দেখা যায়। বাংলার প্যাভিলিয়নে স্থান পেয়েছে রাজ্যের কুঠিরশিল্প, তাঁতিদের হাতে তৈরি শাড়ি ও পোশাক। ঠাঁই পেয়েছে কৃষি বিপণন, প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন, পর্যটনের (tourism) মতো দফতরও । যথারীতি জায়গা পেয়েছে বাংলার মন ভরিয়ে দেওয়া মিষ্টিও (sweet)। বাংলার হরেক কিসিমের মিষ্টি চেখে দেখতে ভিড় ছিল ভালই।

<

p style=”text-align: justify;”>উদ্যোক্তাদের পক্ষে কৃষ্ণ গুপ্তা বলেন, কোভিড পরিস্থিতির জন্য এক বছর পর আন্তর্জাতিক শিল্প মেলা হচ্ছে। এই মেলার মাধ্যমে  বাংলার বিভিন্ন প্রান্তের নিজস্ব শৈলীতে তৈরি পণ্য জাতীয় তথা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে তুলে ধরাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। সেই ভাবনা থেকেই পশ্চিমবঙ্গের প্যাভিলিয়ন তৈরি করা হয়েছে।