‘Old is Gold’ শব্দটি গেরুয়া রঙে লেখা। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এমনই এক ছবি দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি (Dilip Ghosh) বর্তমানে বঙ্গ বিজেপির হেরো হেভিওয়েটদের তালিকাভুক্ত। বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের কীর্তি আজাদের কাছে পরাজিত হয়ে প্রাক্তন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বিস্ফোরক পোস্টের মানে ‘পুরাতনই সোনা’।
গরুর দুধে সোনা আছে এমন বিতর্কিত মন্তব্যে দিলীপ ঘোষ তুমুল কটাক্ষের শিকার হন যখন তখন। তবে তিনিই যে আসলে ‘সোনা’ তার ইঙ্গিত দিয়ে়ছেন। তাঁর ‘Old is Gold’ পোস্টের পর বিজেপি মহল যেমন আলোড়িত তেমনই আলোড়ন রাজনৈতিক মহলে। কারণ, লোকসভা ভোটে দিলীপ ঘোষ পরাজিত হয়েই দলের একাংশ নেতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করছেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, ইঙ্গিতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভূমিকায় ক্ষুব্ধ দিলীপ। ভোটে প্রার্থী বাছাইয়ে মূ়খ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন শুভেন্দু।
পরাজয়ের পর দিলীপ ঘোষের দাবি, তাঁকে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মেদিনীপুর কেন্দ্র থেকে সরিয়ে পূর্ব ও পশ্চিম দুই বর্ধমান জেলায় মিশে থাকা বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রে আনা ছিল অন্তর্ঘাত। তিনি বারবার দাবি করেন, বিজেপির রাজ্য সভাপতি থাকাকালীন তিনিই দলকে সর্বাধিক রাজনৈতিক লাভ এনে দিয়েছিলেন।
বিজেপি বঙ্গ সভাপতি থাকাকালীন দিলীপ ঘোষ তাঁর দলকে ১৮টি লোকসভা আসন ও রাজ্যে প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদায় টেনে তোলেন বলে দাবি করেন। গত লোকসভা নির্বাচন ও বিধানসভা ভোটে বিজেপি বাংলায় যে শক্তি নিয়ে এসেছিল সেটি সর্বশেষ পুরনির্বাচন ও পঞ্চায়েত ভোটে ভেঙে দেয় তৃ়নমূল ও বাম শিবির। এবারের লোকসভা ভোটে তৃণমূল তার শক্তি দেখায়। বাম শিবিরের ভোট বেড়েছে। আর বিজেপির সাংসদ সংখ্যা ১৮ থেকে নেমে হয়েছে ১২টি।
লোকসভা ভোটে জাতীয়স্তরে বিজেপির একক গরিষ্ঠতা নেই। পশ্চিমবঙ্গে ভোট পরবর্তী বিজেপির সমর্থকদের তৃ়নমূলে যোগদান চলছে। বিজেপির মধ্যে দাবি দিলীপ ঘোষকে ফের রাজ্য সভাপতি করা হোক। দিলীপ বলছেন ওল্ড ইজ গোল্ড!