মোদীর সভায় ২০ লাখের জল, ২২ লাখের টোটো! তবুও হারলেন দিলীপ

বিজেপির নির্বাচনী খরচ নিয়ে এর আগেও একাধিক বিতর্ক হয়েছে। কিন্তু এবার খোদ দিলীপ ঘোষের নির্বাচনী খরচ দেখে মাথায় হাত পড়েছে দিল্লির নেতাদের। ২০ লক্ষ টাকার…

dilip ghosh expenses for modi meeting in burdwan gets a controversy, মোদীর সভায় দিল্পী ঘোষের প্রচারে খরচ নিয়ে বিতর্ক

বিজেপির নির্বাচনী খরচ নিয়ে এর আগেও একাধিক বিতর্ক হয়েছে। কিন্তু এবার খোদ দিলীপ ঘোষের নির্বাচনী খরচ দেখে মাথায় হাত পড়েছে দিল্লির নেতাদের। ২০ লক্ষ টাকার জল খেয়ে, ২২ লক্ষ টাকা ভাড়া দিয়ে টোটোতে চেপেও এক লাখেরও বেশি মার্জিনে হেরেছেন দিলীপবাবু। বর্ধমানে নরেন্দ্র মোদীর সভায় বিজেপির খরচের বহর দেখে চোখ কপালে উঠেছে সবারই।

এর আগে ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের সময় প্রায় ১৫০ কোটি টাকা খরচা করেছিল বঙ্গ বিজেপি। কিন্তু ১৫০ আসন তো দূর, সেঞ্চুরি ও করতে পারেনি তারা। পরবর্তী সময়ে ভোটের খরচে একাধিক দুর্নীতির কথা উঠে আসে বিজেপির রুদ্ধদ্বার বৈঠকে। শোনা যায় তেলের খরচা বাবদ লাখ লাখ টাকা ঘরে তুলেছেন বিজেপির নেতারা। এমনকি স্থানীয় সূত্রে যেটা জানা যায় বুথ এজেন্টদের জন্য বিশেষ সাম্মানিক বরাদ্দ করা হয়েছিল। সেটাও নাকি পাননি বেশিরভাগ বুথ এজেন্ট। অথচ এই বাবদ বরাদ্দ টাকা যথাসময়েই খালি হয়ে গিয়েছে বিজেপির ভাঁড়ার থেকে। অসমর্থিত সূত্রের খবর, সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে বিজেপি এবার প্রতি লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী পিছু ৬ কোটি টাকা করে বরাদ্দ করেছিল। পশ্চিমবঙ্গে তাতেও কিন্তু কাঙ্খিত সাফল্য আসেনি। বরং মাত্র ১২ টি আসন নিয়েই তাদেরকে আপাতত খুশি থাকতে হল।

   

দিল্লি খেকেই রাজ্যপাল আনন্দ বোসের কড়া পদক্ষেপ! এবার ঘুম উড়বে মমতার?

কিন্তু তারই মধ্যে এরকম লাগামছাড়া খরচার হিসেব দেখে স্বভাবতই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। নাম না প্রকাশের শর্তে এক বিজেপি নেতার বক্তব্য, বর্ধমানে মোদিজীর সভার খরচ হিসাবে এই বিপুল অংকের হিসেব দেখানো হয়েছে। শুধু জল কিংবা টোটো ভাড়া নয়, গাড়ি ভাড়া হিসাবেও নাকি দেখানো হয়েছে ৪৪ লক্ষ টাকা! প্রায় এক কোটি টাকার কাছাকাছি খরচা করেও মোদীজির সভার সেই অর্থে কোনও প্রভাবই পড়েনি ভোটে। অথচ জলের মতো খরচ হওয়া কখনো থেমে থাকে নি। যা নিয়ে তথ্য সামনে আসতেই ক্ষোভ বাড়ছে বিজেপির সমর্থক মহলে।

তবে তৃণমূলের এক নেতার সহাস্য টিপ্পনি, “যে দলের নেতারা নিজেদের সম্পত্তি লুট করতে ব্যস্ত, সে দল ক্ষমতায় এলে সাধারণ মানুষের কি অবস্থা হবে, তা পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে! এরা কথায় কথায় আমাদের দুর্নীতির কথা বলেন, কিন্তু পরপর দুটো ভোটেই এনাদের খরচাপাতি নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠলো। গাধা দিয়ে যে হাল চাষ হয় না, সেটা এদেরকে দেখেই বোঝা যায়!”

বর্ষার জলে ভিজবে এবার শহরের উষ্ণতম দিনগুলি

ভোটে হারার পরেই বিস্ফোরক সমস্ত অভিযোগ করে মুখ খুলেছিলেন দিলীপ ঘোষ। এবার তাঁরই নির্বাচনী প্রচারে বিপুল পরিমাণ টাকা নয় ছয়ের অভিযোগ উঠছে। যদিও তাঁর সমর্থকদের পরিষ্কার বক্তব্য, মোদীর সভার আয়োজনে বিজেপির বর্তমান ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী এই খরচ করেছে। এই খরচের ক্ষেত্রে দিলীপবাবুর কোনরকম হাত ছিল না। কিন্তু এবার বঙ্গ বিজেপির অভ্যন্তরে নির্বাচনী খরচ নিয়ে নতুন কোন গোলযোগের ইঙ্গিত দিতে চলেছে এই তথ্য? সম্ভাবনা পুরোপুরি উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না কোনোভাবেই।