পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে জনসংযোগ বাড়াতে দিদির সুরক্ষা কবচ (Didir Suraksha kawach) কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছে তৃণমূল৷ দুর্নীতিতে জেরবার তৃণমূল নতুন বছরে ভিন্ন যাত্রাপথের সুচনা করেছিল৷ সংকল্প ছিল জেলায় জেলায় সংগঠনকে মজবুত করা৷ কিন্তু জেলায় জেলায় সাধারণ মানু্ষের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে শাসক দলের নেতাদের৷
মানুষের এই ক্ষোভকে আশীর্বাদ বলে আখ্যা দিয়েছেন দলেরই সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, মানুষের যে সমস্যা আছে সেই সমস্যাগুলির কথা তো জানাবেই। মানুষের ক্ষোভ হল আমাদের কাছে আশীর্বাদ, ভালোবাসা। মানুষের জন্য আমরা কাজ করে যাব৷ এমনকি বিজেপিকে কটাক্ষ করে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল, আমরা দিল্লির বাবুদের কাছে মাথা নত করবো না। তৃণমূলের কাছে মানুষ ক্ষোভ জানাচ্ছে। আমি নিজেই দিদির সুরক্ষা কবচে অংশ নেব।
অভিষেকের এই মন্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, শুধুমাত্র সাধারণ মানুষ নয়, দিদির দূত হিসাবে গিয়ে দলের কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে নেতাদের। তাহলে সেটা কী দলের জন্য অভিশাপ? কারণ, জেলায় জেলায় যেভাবে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে তাতে ফায়দা তুলতে শুরু করেছে বিরোধী দলগুলি। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, ভোট কাটাকুটির এই খেলায় ফায়দা হবে বিরোধীদেরই।
যদিও অনেক আগে থেকেই শাসক দলের ভোট নিজেদের দিকে আনার দৃঢ় সংকল্প নিয়েছে বাম, বিজেপি এবং কংগ্রেস। শাসক দলের বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতি থেকে আবাস যোজনা সহ কেন্দ্রীয় প্রকল্পে দুর্নীতির যে অভিযোগ উঠেছে, তাকেই হাতিয়ার করতে চায় বিরোধীরা। তার ওপর শাসক দলের গোষ্ঠী কোন্দল সেই কাজ সুবিধে করে দিয়েছে। অভিষেকের কথায় মানুষের ক্ষোভ আশীর্বাদ হলেও দলের প্রকাশ্যে কোন্দলকে শক্ত হাতে মোকাবিলা না করতে পারলে পঞ্চায়েত নির্বাচন তৃণমূলের জন্য বড় অভিশাপ হতে পারে৷