মূক ও বধির মহিলাকে পরিত্যক্ত বাড়িতে ধর্ষণের অভিযোগ, ফের খবরে কুলতলি

আরজি কর কাণ্ডের আবহে চলতি মাসের শেষে ফের কুলতলিতে (Kultali) উঠল ধর্ষণের অভিযোগ। চলতি মাসের শুরুতে কুলতলির কাছে জয়নগরে একটি জলাজমিতে ন’বছরের ওই শিশুকে ধর্ষণ…

Deaf and dumb woman in Kultali raped by neighbor

আরজি কর কাণ্ডের আবহে চলতি মাসের শেষে ফের কুলতলিতে (Kultali) উঠল ধর্ষণের অভিযোগ। চলতি মাসের শুরুতে কুলতলির কাছে জয়নগরে একটি জলাজমিতে ন’বছরের ওই শিশুকে ধর্ষণ করে খুনের করা হয়েছিল। যেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠেছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর-কুলতলির বিস্তীর্ণ এলাকা।

এবার সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের সেখানে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল। এক মূক ও বধির মহিলাকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল সেখানকার প্রতিবেশী যুবকের বিরুদ্ধে। ঠিক কী হয়েছিল? জানা যাচ্ছে, মঙ্গলবার দুপুরে ওই মূক ও বধির মহিলাকে বাড়ির কাছে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়।

   

নির্যাতিতার পরিবারের তরফ থেকে বলা হয়েছে, ওই নির্যাতিতা মহিলা প্রায়শই একা একা বাড়ি থেকে বেরিয়ে বাড়ির আশপাশে ঘোরাঘুরি করতেন। মঙ্গলবার দুপুরেও ঠিক এরকমই একা বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন ওই মহিলা। কিন্তু অনেকক্ষণ পরেও ফিরে না আশায় নির্যাতিতার খোঁজে বেরোন তার পরিবার। সেসময় একটি পোড়ো বাড়িতে খোঁজ মেলে ওই মহিলার।

এর ঠিক মাঝেই নির্যাতিতাকে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়ে প্রতিবেশী সেই যুবক ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ওইসময় ঘটনাস্থলে অভিযুক্ত যুবককে দেখে অন্য প্রতিবেশীদের ডেকে আনেন নির্যাতিতার পরিজনেরা। তারপর বুধবার কুলতলি থানায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে নির্যাতিতার পরিবার।

জানা যাচ্ছে, বুধবার অভিযোগ পেয়েই ওই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার ধৃতকে বারুইপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে বলে জানানো হয়েছে। তবে এ বিষয়ে বারুইপুরের এসডিপিও অতীশ বিশ্বাস জানিয়েছেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।”

এদিকে নির্যাতিতার মহিলার পরিবারের দাবি, ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর পরিস্থিতি সামলাতে সেই এলাকায় পৌঁছান স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য প্রহ্লাদ নস্কর। সেখানে গিয়ে তিনি নির্যাতিতার পরিবারকে ২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়ার পাশাপাশি হুমকিও দিয়েছেন বলে দাবি সেই পরিবারের। যদিও নির্যাতিতার পরিবারের তোলা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রহ্লাদ।

স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য জানিয়েছেন, এই ঘটনার খবর পেয়ে তিনি যখন সেখানে গিয়েছিলেন তখন ঘটনাস্থলে নির্যাতিতার পরিবারের কেউ ছিলেন না। এমনকি ফোনেই নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রহ্লাদ নস্কর।