সিপিআইএমের (CPIM) বাম যুব সংগঠনের (DYFI) স্লোগান সিঙ্গুরে (Singur) কারখানা পুরনায় খোলা ও চাষযোগ্য জমি ফেরতে জন্য। সেই স্লোগানে দূর থেকে গলা মেলাচ্ছে বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। অভূতপূর্ব এক দৃশ্য রাজনৈতিক মহলে তীব্র আলোড়ন ফেলে দিল। সমাবেশে বাম যুবনেত্রী মীনাক্ষী মুখার্জিকে (Minakshi Mukherjee) দেখতে ভিড় জমে যায়।
বাম আমলে টাটা মোটর কারখানা তৈরি হয়েও তৃ়ণমূল কংগ্রেসের জমি আন্দোলনের ধাক্কায় চালু হয়নি। তীব্র আন্দোলনের ধাক্কায় কারখানা বন্ধ করে টাটারা বিদায় নেয়। বাম জমানার পতনের পর সিঙ্গুর গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই কারখানার জমিতে সরষে ছড়িয়েছিলেন। পরে জমি ফেরত প্রক্রিয়া নিয়ে জটিলতা চলছে।
বুধবার সিঙ্গুরে সেই কারখানা খোলা ও চাষযোগ্য জমি ফেরতের স্লোগান উঠল সিপিআইএমের যুবনেত্রী মীনাক্ষী মুখার্জির জনসভা থেকে। আরও তাৎপর্যপূর্ণ, নিকটবর্তী সিঙ্গুর মহামায়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে পডুয়ারা তারস্বরে গলা মেলাতে থাকে।
বিদ্যালয়ের উপরের বারান্দা সেখানে পড়ুয়ারা ভিড় করেছিল জনসভা শোনার জন্য। বিদ্যালয় থেকে কিছু দূরে বাম যুবনেত্রী মীনাক্ষী মুখার্জির ভাষণ শুরুর আগে সিঙ্গুরে টাটা মোটর কারখানা খোলার দাবিতে শুরু হয় স্লোগান। মাইকে তা শুনেই পড়ুয়ারা গলা মেলাতে থাকে।
সিঙ্গুরে মাছের ভেড়ি করা চলবেনা। চাষের জমি ফেরত নতুবা করখানা খেলারর দাবি নিয়ে সিঙ্গুর বিডিও অফিসে ডেপুটেশন দেয় বাম যুব সংগঠন DYFI, তাতে অংশ নেন সংগঠনটির রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখার্জি। তিনি সমাবেশ থেকে শিল্পের দাবিতে সরব হন।
বামফ্রন্ট আমলে হুগলির এই সিঙ্গুর থেকে জমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে প্রবল আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন তৎকালীন বিরোধী মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পর পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে রক্তাক্ত জমি আন্দোলনের জোড়া ধাক্কায় বামফ্রন্ট সরকারের পতন হয়েছে। পরবর্তী নির্বাচনগুলিতে সিপিআইএম বিরোধী দল থাকলেও গত বিধানসভা ভোটে শূন্য হয়ে গেছে। সিঙ্গুর থেকেও হারের ধারাবাহিকতা বজায় আছে সিপিআইএমের। সেখানে মীনাক্ষীর জনসভায় বিরাট ভিড় ও বিদ্যালয় থেকে পড়ুয়াদের সমর্থন চিৎকারে রাজনৈতিক মহল সরগরম।